h

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)

একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ)এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেসকরলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবুহোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকেমেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমি কিকোন বেয়াদবী করেছ? আবু হোরায়রা বললেন,না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবারহতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায়আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেসকরায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথাশুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়তআমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) .... see more

মল মুত্র ত্যাগের সময় একান্ত প্রয়োজন

১..মল মুত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখী হওয়া অথবা কিবলাকে পেছনে দেয়া জায়েয নয় ।বুখারীঃ৩৯৪,মুসলিমঃ২৬৪।
২..গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিন্জা তথা মল মুত্র পরিস্কার করা জায়েজ নয় ।মুসলিমঃ২৬২,৪৫০,বুখারীঃ৩৮৬০।
৩..পথে ঘাটে ,বৈঠকখানা অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল মুত্র করা জায়েয নয় ।মুসলিমঃ২৬৯,আবু দাউদঃ২৬,ইবনু মাজাহঃ৩২৮।
৪..ডান হাত দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ বা ইস্তিন্জা করা জায়েজ নয় ।বুখারীঃ১৫৩,১৫৪
৫..ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বেজোড় ব্যবহার করতে হয় ।বুখারীঃ১৬১,১৬২ ।
৬..ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার করতে হয় ।মুসলিমঃ২৬২।
৭..মল মুত্র ত্যাগের সময় আপনাকে কেউ যেন দেখতে না পায় ।আবু দাউদঃ২।
৮..পানি ,ঢিলা অথবা যে কোন মর্যাদাহীন পবিত্র বস্তু দিয়ে ভালোভাবে ইস্তিন্জা করে নিবে যাতে উভয় দ্বার সম্পুর্নরূপে পরিস্কার হয়ে যায় ।
৯..প্রস্রাব করার সময় কোন ব্যক্তি সালাম দিলে উত্তর দেওয়া যাবে না ।মুসলিমঃ৩৭০,আবু দাউদং১৭।
১০..গোসল খানায় প্রস্রাব করা নিষেধ ।আবু দাউদঃ২৭।
১১..ওযু ও ইস্তিন্জার লোটা (পাত্র) ভিন্ন হওয়া উচিত ।আবু দাউদঃ৪৫।

নামাজ পড়ার উপকারীতা

1.স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
2.হারাম সবকিছু থেকে দূরে থাকা যায়।
3.রোগ মুক্ত থাকা যায়।
4.মন ভালো থাকে।
5.চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ে।
6.আত্নার শান্তি পাওয়া যায়।
7.আলসেমি কেটে যায়।
8.দেহের শক্তি বাড়ে।
9.মন ঠান্ডা রাখে।
10.শয়তান থেকে দূরে রাখে।
11.বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে।
12.বেহেশতে যাওয়ার পথ তৈরি করে।
13.আর বড় ব্যাপার হলো নামাজের মাধ্যেমেই একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
[একমাত্র নামাজের মাধ্যেমেই যদি এতগুলো উপকার পাওয়া যায় তাহলে আজ কেন আমরা নামাজ থেকে এত দূরে??আসুন আজ থেকে সবাই শপথ গ্রহণ করি ....
পাঁচ ওয়াক্ত পড়ার এবং ইসলামী বিধান অনুযায়ী চলার]

আমরা কি শুধু আল্লাহর ইবাদত করি? নাকি একই সাথে শয়তানেরও...?

একটি হুদহুদ পাখি একটি জাতির ইসলাম গ্রহণের কারণ ছিল।
(নমলঃ ২০-৪৪)
একটি পিপড়া একটি সৈন্য বাহিনীর যাত্রাপথকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
(নমলঃ ১৮-১৯)
একটি কাক আদম সন্তানকে শিখিয়েছে কিভাবে মৃতকে দাফন করতে হয়।
(মায়েদাঃ ৩১)
একটি মাছ একজন নবীকে নিজের পেটে আশ্রয় দিয়েছে।
(সাফফাতঃ ১৪২)
হাতি আল্লাহ ঘর কা’বা ভাঙ্গতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
(সূরা ফীল)
মানুষ কি চিন্তা করবে না? শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সকলে শুধুই আল্লাহর ইবাদত করে।
(বাণী ইসরাঈলঃ ৪৪)

Marriage

বাসরঘর


১- বাসরঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখা এবং দু’আ পড়া :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا أَفَادَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً أَوْ خَادِمًا أَوْ دَابَّةً فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيُسَمِّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.
‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে :
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.
(‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)’

২- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করা:
আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে,স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুইরাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে :
اللَّهُمَّ بَارِكْ لِي فِي أَهْلِي، وَبَارِكْ لَهُمْ فِيَّ، اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي مِنْهُمْ وَارْزُقْهُمْ مِنِّي، اللَّهُمَّ اجْمَعَ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ إِلَى خَيْرٍ، وَفَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ.
‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখনকল্যাণের পথেই বিচ্ছেদঘটাবেন।’

৩- স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দু‘আ পড়া।
স্ত্রীসহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ فَقَالَ بِاسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرُّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا.
‘তোমাদের কেউ যদি স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে :
بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
(আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকেশয়তানেরকাছথেকে দূরে রাখুন আরআমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।’

৪- নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা :
আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
مَنْ أَتَى حَائِضًا ، أَوْ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا ، أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছনপথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায়বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।’

৫- ঘুমানোর আগে অযূ বা গোসল করা :
স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ثَلاَثَةٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ الْمَلاَئِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأَ.
‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীরবিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।’

৬- ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে :
হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ .
‘… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।’

৭- বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা :
নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে।কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةً ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ، أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ ، وَيَكُونُ لَهُ فِيهِ أَجْرٌ ؟ قَالَ : أَرأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي الْحَرَامِ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ ؟ فَكَذَلَكَ إِذا وَضَعَهَا فِي الْحَلالِ كَانَ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ.
‘তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, ‘তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকী লেখা হয়।’

৮- স্ত্রী সান্বিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা :
বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِى إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِى إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا.
‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।’

The End of my Life dairy

আজ আমি সুন্দরি মিস আমেরিকা এর Award পেয়েছি


গল্পটি পড়ুন চোখে পানি চলে আসবে**আমেরিকার এক শহরে এক নামকরা Businessman ছিলো। টাকা পয়সা, নামে, দামে,কোনো কিছুরই তার অভাব ছিলো না। কিন্তু তার মডার্ন সোসাইটিতে মুখ দেখাতে পারতোনা শুধুতার মায়ের জন্য। কারন তার মা ছিলো অন্ধ। মায়ের মুখে ছিলো আগুনে পোড়া দাগ। আর মাথায় কোনো চুল ছিলো না । তাই মডার্ন সোসাইটিতে নিজের মান সম্মান বজায় রাখার জন্য মা কে বাসা থেকে বের করে দিলো। বেচারি অন্ধ মা কেদে কেদে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। হঠাত একটি গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে বৃদ্ধা মা মারা গেল। ছেলে শুনে কষ্ট পেলো না, ভাবলো আপদ বিদায় হয়েছে। কিছুদিন পর কোনো Documents খুজতে খুজতে মায়ের ঘরে মায়ের লেখা একটা ডাইরি পেলো । ডাইরিতে লেখা ছিলো- #০৫-১২-১৯৮০=আজ আমি সুন্দরি মিস আমেরিকা এর Award পেয়েছি। #০২-০৫-১৯৮৩ আজ আমার Pregnant এর Abortion না করার জন্য আমার স্বামী আমাকে Divorce দিয়েছে। #০৭-০৩-১৯৮৫ আজ আমার বাড়িতে আগুন লেগেছিলো। আমি বাহিরে ছিলাম। আর আমার কলিজার টুকরা ছেলে বাড়ির ভিতরে ছিলো।নিজের জীবন বাজি রেখে শুধু ছেলের জীবন বাচাতে গিয়ে আগুন লেগে আমার চুল এবং মুখপুড়ে আমার সম্মস্ত সৌন্দর্য ছাই হয়ে গেছে।তাতে আমার কোন দুঃখ নেই। কিন্তু তবু আমার কলিজার টুকরা ছেলের চোখদুটো আমি বাচাতে পারিনি । #০৭-৫-১৯৮৫ আজ আমার নিজের চোখ দুটো আমার ছেলে কে দিতে যাচ্ছি । The End of my Life dairy............ডাইরিটি পড়ে ছেলে পাগলের মতো কাদতে কাদতে দেওয়ালে মাথা আছড়াতে লাগলো । আমার আর বলার কিছু নেই। সমস্ত পৃথিবীর মা জাতীর প্রতি রইলো আমার সালাম। ।

EARTHQUAKE (ভূমিকম্প)

ঘন ঘন ভূমিকম্প কিয়ামতের বড় একটি আলামত


বিশ্বনবী মহানবী (সাঃ) তার বাণীতে বলে গেছেন, যখন কিয়ামত খুবই কাছে এসে যাবে, এজন্য তিনি কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার কত গুলো আলামত জানিয়ে দিয়ে গেছেন।
আলামত গুলো হলঃ

১.মানুষ ব্যাপকহারে ধর্মবিমুখ হবে।
২.বিভিন্ন রকমের পার্থিব আনন্দ এবং রং তামাশায় মেতে থাকবে।
৩.নাচ-গানে মানুষ মগ্ন থাকবে।
৪.মসজিদে বসে দুনিয়াদারীর আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত হবে।
৫.সমাজে ও রাষ্ট্রে অযোগ্য লোক এবং মহিলা নেতৃত্ব শুরু হবে।
৬.মানুষের মধ্যে ভক্তি, শ্রদ্ধা, স্নেহ ভালবাসা কমে যাবে।
৭.ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে।
৮.সব দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিবে।
৯.অত্যাধিক শিলা-বৃষ্টি হবে।
১০.বৃষ্টির সাথে বড় বড় পাথর বর্ষিত হবে।
১১.মানুষের রূপ পরিবর্তিত হয়ে পুরুষ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোক পুরুষের রূপ ধারন করবে।

কিয়ামতের সময় যখন আরও নিকটবর্তী হবে তখন
ইমাম মাহদীর আগমন,
দাজ্জালের আর্বিভাব,
হযরত ঈসা (আঃ) এর আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ,
ইয়াজুজ-মাজুজের উৎপাত,
পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদয়,
কুরআনের অক্ষর বিলোপ,
তাওবার দরজা বন্ধ,
দুনিয়া হতে ইমানদারের বিলুপ্তি ইত্যাদি দেখা দেবে।

রাসূল (স:) এর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগের হৃদয় স্পর্শি ঘটনা


মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের শেষ মূহুর্ত চলছে।'হঠাৎ সেখানে একজন লোক এসে বললেন 'সালাম 'আমি কি ভিতরে আসতে পারি। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, দুঃখিত আমার পিতা খুবই অসুস্হ।-ফাতিমা (রঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূলের কাছে গেলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, কে সেই লোক? ফাতিমা বললেন, এই প্রথম আমি তাকে দেখেছি। আমি তাকে চিনি না।-শুনো ফাতিমা, সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসানকারী ফেরেশতা আজরাইল। এটা শুনে ফাতিমার অবস্হা তখন ক্রন্দনরত বোমার মতো হয়ে গিয়েছে।-রাসূল (সাঃ) বললেন,হে জিবরাঈল আমার উম্মতের কি হবে?আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে?জিবরাঈল (আঃ) বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে।-মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের কাছে এলেন জান কবজ করার জন্যে। মালাইকাত মউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রিলকে রাসূল বললেন ঘোঙানির সাথে, ওহ জিবরাঈল এটা কেমন বেদনা দায়ক জান কবজ করা।-ফাতিমা (রাঃ) তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন, আলী (রাঃ) তার দিকে উপুড় হয়ে বসলেন, জিবরাঈল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন।-রাসুলল(সঃ) বললেন, হে জিবরাঈল তুমি মুখটা উল্টা দিকে ঘুরালে কেন, আমার প্রতি তুমি বিরক্ত ?জিবরাঈল বললেন, হে রাসূলুল্লাহ সাকারাতুল মউতের অবস্হায় আমি আপনাকে কিভাবে দেখে সহ্য করতে পারি।-ভয়াবহ ব্যাথায় রাসূল ছোট্ট একটা গোঙানি দিলেন। রাসূলুল্লাহ বললেন, হে আল্লাহ সাকারাতুল মউতটা (জান কবজের সময়) যতই ভয়াবহ হোক, সমস্যা নেই, আমাকে সকল ব্যথা দাও আমি বরণ করবো, কিন্তু আমার উম্মাহকে ব্যথা দিওনা। রাসূলের শরিরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো। তার পা, বুক কিছুই নড়ছে না এখন আর। রাসূলের চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিলো, তিনি কিছু বলবেন মনে হয়।-আলি (রাঃ) তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে নিয়ে গেলো। রাসূল বললেন, নামাজ কায়েম করো এবং তোমাদের মাঝে থাকা দূর্বলদের যত্ন নাও।-রাসূলের ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ, সাহাবীরা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নারত। আলী (রাঃ) আবার তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে ধরলো, রাসূল চোখ ভেজা অবস্হায় বলতে থাকলেন,
ইয়া উম্মাতি! ইয়া উম্মাতি! ইয়া উম্মাতি!

আবু হুরায়রা (রাঃ)

মেহমানদারীর অসাধারণ একটি ঘটনা

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একজন লোক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমাকে ক্ষুধা পেয়েছে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমি ক্ষুধায় কাতর। তিনি তার স্ত্রীদের নিকট (খাবারের সন্ধানে) লোক পাঠালেন। তারা বলল, ঐ সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহ পাঠিয়েছেন। আমাদের নিকট পানি ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে এর মেহমানদারী করবে? আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন। তখন আনছারী ছাহাবী (আবু তালহা) বললেন, আমি করব। অতঃপর তিনি তাকে সাথে নিয়ে তার স্ত্রীর নিকট গেলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহর মেহমানকে সম্মান কর। কোন খাদ্য জমা রাখবে না। সে (স্ত্রী) বলল, আল্লাহর কসম! শিশুদের জন্য রাখা খাদ্য ব্যতীত আমাদের নিকট কোন খাদ্য নেই। তিনি বললেন, তোমার খাবার প্রস্ত্তত কর, বাতি জ্বালিয়ে দাও এবং তোমার সন্তানরা যখন রাতের খাবার খেতে চাইবে তখন তাদের ঘুম পাড়িয়ে দিবে। সে খাবার প্রস্ত্তত করল, বাতি জ্বালালো এবং তার শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে দিল। অতঃপর সে দাঁড়াল এবং বাতি ঠিক করার ভাব দেখিয়ে তা নিভিয়ে দিল। অতঃপর তারা উভয়ে (অন্ধকারে) খাবার খাচ্ছে বলে তাকে প্রদর্শন করলো। মেহমান খেল এবং তারা উভয়ে ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করল। অতঃপর সকালে সে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গমন করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, গত রাতে মেহমানের সাথে তোমাদের উভয়ের কর্মকান্ড দেখে আল্লাহ হেসেছেন বা অবাক হয়েছেন এবং নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল করেছেন,وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ‘আর তারা তাদেরকে নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্থ হ’লেও। যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য হ’তে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম’ (হাশর৫৯/৯)।

(বুখারীহা/৩৭৯৪; বায়হাকী, সুনানুলকুবরাহা/৭৮০২; সিলসিলাছহীহাহা/৩২৭২)।