h

আল্লাহ তায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেন

প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ 

            সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেন একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুন বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) 
ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। 
১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। 
২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। 
৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। 
ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)
প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেনÑ একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুনÑ বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। ১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। ২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। ৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0#sthash.Gu35xzGv.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0
Copyright Daily Inqilab
প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেনÑ একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুনÑ বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। ১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। ২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। ৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0#sthash.Gu35xzGv.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0
Copyright Daily Inqilab

No comments:

Post a Comment