h

আল্লাহ তায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেন

প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ 

            সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেন একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুন বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) 
ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। 
১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। 
২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। 
৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। 
ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)
প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেনÑ একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুনÑ বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। ১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। ২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। ৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0#sthash.Gu35xzGv.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0
Copyright Daily Inqilab
প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহতায়ালার নিখিলের রব, পরওয়ারদিগার। যিনি প্রেমময় চির মেহেরবান, বিচার দিনের মালিক মহান। তোমারে করি মোরা এবাদত, তোমারি নিকট মানি শক্তি-মদত। দেখাও সরল পথ তাদের সে পথ যাদের উপর বহেতব নিয়ামত। নয় তাদের পথ অভিশপ্ত যারা, পথ পেয়ে হলো পথহারা। রাসূল (সা.) একদিন সাহাবীসহ বসা ছিলেন। আকাশে প্রচ- কর কর শব্দ হলো। সাহাবীগণ অবাক দৃষ্টিতে রাসূল (সা.) পানে তাকালেন। রাসূল (সা.) বললেন, এইমাত্র আল্লাহতায়ালার নিকট হতে বার্তা নিয়ে ধরাধামে একজন ফেরেশতা আগমন করল। সে এর পূর্বে পৃথিবীতে আসেনি। ফেরেশতা নবীর নিকট এসে বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে দুটি নূর দিয়েছেনÑ একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত। এই দুই অংশে আল্লাহতায়ালার নিকট আবেদন এবং বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা রয়েছে।’ নবুওতের প্রাথমিক অবস্থায় যখন রাসূল (সা.) কোথাও তশরীফ নিতেন তখন অদৃশ্য হয়ে ইয়া মুহম্মদ (সা.) আওয়াজ শুনতেন। ঊর্ধ্বে তাকালে যমিন ও আসমানের মর্ধবর্তী স্থানে সিংহাসন দেখতেন যেথায় সমাসীন এক নূরানী চেহারা। হযরত খাদিজা (রা.) এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘আপনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে ওরাকা ইবনে নওফেলের নিকট গমন করুন। অতঃপর রাসূল (সা.) তার নিকট গেলেন। ওরাকা বললেন, ঐ আওয়াজ যদি আবার শুনেন তাহলে দাঁড়িয়ে যাবেন। তিনি অমনই করলেন। অদৃশ্য হতে আওয়াজ দানকারী বললেন, বলুনÑ বিসমিল্লাহির রহমানের রাহীম। আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন.... শেষপর্যন্ত। এই সূরা দু’বার নাযেল হয়। প্রথমবার মক্কা শরীফে এবং দ্বিতীয়বার কেবলা পরিবর্তনের সময় মদিনায়। (আল্লামা কাজি বায়হাকী) ফাতেহা ব্যতীত এ সূরার আরো অনেক নাম আছে। আল্লামা সূয়ুতী (র.) প্রণীত আল এতবানু ফি উলুমিল কোরআন গ্রন্থে বিশটি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা বাগাকী (রহ.) তিনটি প্রসিদ্ধ নাম উল্লেখ করেন। ১। উন্মুল কোরআন। কোরআনের সার বা আসল। এ সূরাকে পাক কোরআনের মূল বিষয়বস্তু আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের প্রতিপাদ্য বিষয় বর্ণিত। ২। ফাতিহাতুল কিতাব। মানবজীবনের সম্পূর্ণ নির্দেশাবলী কোরআনে নিহিত। সেই কোরআনের সূচনায় এর অবস্থান। এজন্য এর নাম ফাতিহাতুল কিতাব। ৩। আসসামাউল মাসানী বা বাণী সন্তক। কারণ পবিত্র কোরআনে সাত আয়াত বিশিষ্ট দুইটি সূরা রয়েছে। একটি সূরা ফাতেহা এবং অপরটি সূরা মাউন। সাত আয়াত বিশিষ্ট বিধায় এই সূরার অপর নাম আসসামাউল মাদানী। ফজীলত : হাদীস শরীফে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা উত্তম জিকর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া সূরা ফাতেহা। হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার কসম সূরা ফাতেহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, ইত্যাদি অন্য কোন আসমানী গ্রন্থে নেই। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমতুল্য সূরা নাযিল হয়নি। (মা’রেফুল কোরআন)। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0#sthash.Gu35xzGv.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/1840/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0
Copyright Daily Inqilab

এপ্রিলফুল

স্পেন থেকে মুসলিম নির্মুলের মর্মান্তিক ইতিহাসঃ

                প্রায় ৫০০ বছর আগের কথা। স্পেন ছিল মুসলিমদের একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। এই দেশটি মুসলিমদেরনিয়ন্ত্রনে ছিল প্রায় আট শত বছর। বিশ্ববাসীর জ্ঞান- বিজ্ঞান সাধনার কেন্দ্র ছিল স্পেন। ক্রুসেড-রা দীর্ঘ দিন ধরে স্পেনকে নিজেদের দখলের নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা ক্রুসেড বা ক্রুসের জন্য ধর্ম যুদ্ধের নামে বিভিন্ন সময় স্পেনে আক্রমন করত। কিন্তু স্পেনের মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে তারা বরাবরই পরাজিত হত। মুসলিমরা এই দেশটাকে এতটাই আধুনিক ভাবে সাজিযে ছিল যা ছিল সত্যিই অসাধারন। আজও স্পেনের সেই শহরগুলো এক একটি অপূর্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন। যাহা মানুষকে এখনও মুগ্ধ করে। মুসলিমরা ভালই ছিল স্পেনে। কিন্তু একটা পর্য়ায়ে মুসলিমরা ইসলাম হতে দুরে সরে যেতে লাগল। তার ইসলাম প্রচার প্রসার ও ইসলাম পালনের প্রতি অনিহা বাড়তে লাগল এবং তারা দুনিয়ামুখি হযে গেল। এবং এক পয়ায়ে মুসলিমদের ইমানের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ল। ঠিক এমন এক সময় খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের উপর আবারও আক্রমন করল। যদিও কিছু মুসলিম বীর ও তাদের সাথিরা চরম ভাবে আক্রমনকে প্রতিহত করল এবং ক্রসেড বাহিনীকে প্রায় পরাজিত করে ফেলেছিল। কিন্তু মুসলিম জাতির কতিপয় গাদ্দারের কারনে শেষ রক্ষা হলো না। খ্রিষ্টান ক্রসেডারগণও মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করল। তারা প্রচার করতে লাগল যে, স্পেন এখন তাদের দখলে। তারা ঘোষনা দিয়ে দিল- যে সকল মুসলিমরা মিসজিদে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদ। আর যারা দেশ ত্যাগের জন্য সমুদ্রগামী জাহাজে আশ্রয় নিবে তারাও নিরাপদ। দূর্বল ইমানের মুসলিমগণ শত্রুদের কথা মতো দেশ ত্যাগের জন্য সমুদ্রগামী জাহাজে আশ্রয় নিল আর যারা জাহাজে পৌছঁতে পারল নাতারা স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নিল। পরে ক্রসেড বাহিনী সকল মসজিদকে তালা বদ্ধ করল, এই বলে যতে মুসলিমরা নিরাপদে থাকে। পরে তারা সকল মসজিদ গুলোতে আগুন ধরিয়ে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করল। আর জাহাজ গুলোকে তার ডুবিয়ে দিল। এভাবে তারা স্পেন থেকে মুসলিমদের নির্মুল করল। এরপর সেখানে এমন একজন মুসলিমও ছিল না যে কিনা আজান দিবে। বিগত ৫০০ বছর স্পেনে কোন আজান হয়নি। মাত্র বছর ২ আগে আজানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৪৯২ সনের ১লা এপ্রিল খ্রিষ্টান ক্রসেডারগণ মিথ্যা কৌশল অবলম্বন কর মুসলিমদের বোকা বানিয়ে পরাজিত করেছিল। মুসলিমদের এই পরাজয়কে স্বরন করে খ্রিষ্টানরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিল এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে। আর আমরা বোকার মত এপ্রিল ফুল পালন করে নিজেদেরকে আরো বোকা হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকি। বিগত ১৯৯২ সালে স্পেন থেকে মুসলিম নির্মুলের ৫০০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে স্পেনের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব অলিম্পিক। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হল- বিশ্বের সবগুলো মুসলিম দেশ খৃষ্টানদের সাথে খুব আনন্দ-ফুর্তির সেই বিশ্ব অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিল। আমাদের জাতির পূর্বপুরুষদের সেই মর্মান্তিক অতীত আমাদের হৃদয়ে কোন বেদনার সৃষ্টি করে না। আমাদের জীবনে অতীতের কোন আহবান পৌঁছে না। অথচ আমরা মুসলিম পরিচয় দিয়ে থাকি।

মেসওয়াকের ফযিলত

মেসওয়াকের অনেক উপকারিতা রয়েছে

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত

================================
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসূল (সাঃ) বলেছেন, মেসওয়াক হলো মুখ পরিস্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম।     [আহমদ,মিশকাত]
 
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে নামাযের জন্য অযুর সময় মেসওয়াক
করা হয়, তার ফযিলত ওই নামাযের তুলনায় সত্তর গুন বেশি যেই নামাযের জন্য {ওজুর সময়} মেসওয়াক করা হয় না।       [বায়হাকী, মিশকাত]
 
মেসওয়াকের অনেক উপকারিতা রয়েছে
১}মুখ পরিস্কার করে ।
২}আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির কারন ।
৩}শয়তানকে রাগান্বিত করে ।
৪}আল্লাহ তা'আলা এবং ফেরেশতাগণ মেসওয়াক
কারীকে ভালোবাসেন ।
৫}দাতের মাড়ি শক্ত করে ।
৬}ক্বফ দূর করে ।
৭}মুখে সুগন্ধি আনে ।
৮}দিষ্টি শক্তি বাড়ায় ।
৯}পেটের রোগ নিরাময় করে ।
১০}মেধা শক্তি বাড়ায় ।
১১}মউতের সময় কালিমা নসীব হয়।

আমরা অনেক প্রার্থনা করার পরেও আমাদের দোয়া কবুল হচ্ছে না

একটি শিক্ষনীয় সত্য ঘটনা


একদিন ইবরাহীম ইবনে আদহাম (রঃ) বসরা শহরের একটি বাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকজন তাঁর পাশে সমবেত হয়ে জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবু ইসহাক! আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কুরআনে বলেন, 'আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো' কিন্তু আমরা অনেক প্রার্থনা করার পরেও আমাদের দোয়া কবুল হচ্ছে না।
তখন তিনি বললেন, 'ওহে বসরার অধিবাসী, দশটি ব্যাপারে তোমাদের অন্তর মরে গেছে-

(১) তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অবগত কিন্তু তাঁর প্রদত্ত কর্তব্যসমূহ পালন কর না।
(২) তোমরা কুরআন পড় কিন্তু সে অনুযায়ী আমল কর না।
(৩) তোমরা দাবী কর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে ভালোবাসো কিন্তু তাঁর সুন্নাহকে পরিত্যাগ কর।
(৪) তোমরা নিজেদেরকে শয়তানের শত্রু হিসেবে দাবী কর কিন্তু তোমরা তার পদাংক অনুসরণ কর।
(৫) তোমরা জান্নাতে যেতে উদগ্রীব কিন্তু তার জন্য পরিশ্রম কর না।
(৬) তোমরা জাহান্নামের ভয়ে আতঙ্কিত কিন্তু পাপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তার নিকটবর্তী হচ্ছো।
(৭) তোমরা স্বীকার কর মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত কর না।
(৮) তোমরা সর্বদা অন্যের দোষ বের করতে সচেষ্ট কিন্তু নিজের দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে উদাসীন।
(৯) তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ উপভোগ কর কিন্তু তার জন্য শুকরিয়া আদায় কর না।
(১০) তোমরা মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন করার পর তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর না।

আমাদেরও কি ভেবে দেখা উচিৎ নয় আমাদের অন্তর এসব ব্যাপারে মরে গেছে কিনা।

লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

 ‘এখন আপনাকে কে রক্ষা করবে?’


মহানবী(সা) একদিন একটি গাছের তলায় ঘুমিয়েছিলেন। এই সুযোগে দাসুর নামের একজন শত্রু তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল। শোরগোল করে সে মহানবী(সা) কে ঘুম থেকে জাগাল। মহানবীর(সা) ঘুম ভাঙলে চোখ খুলে দেখলেন, একটা উন্মুক্ত তরবারি তাঁর উপর উদ্যত। ভয়ানক শত্রু দাসুর চিৎকার করে উঠলো, ‘এখন আপনাকে কে রক্ষা করবে?’ মহানবী(সা) ধীর শান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আল্লাহ।’ শত্রু দাসুর মহানবীর(সা) এই শান্ত গম্ভীর কণ্ঠের আল্লাহ শব্দে কেঁপে উঠল। তার কম্পমান হাত থেকে খসে পড়ল তরবারি।.মহানবী(সা) তার তরবারি তুলে নিয়ে বললেন, ‘এখন.তোমাকে কে রক্ষা করবে, দাসুর? সে উত্তর দিল কেই নেই রক্ষা করার।’ মহানবী(সা) বললেন, ‘না, তোমাকেও আল্লাহই রক্ষা করবেন।’ এই বলে মহানবী(সা) তাঁকে তার তরবারি ফেরত দিলেন এবং চলে যেতে বললেন। বিস্মিত দাসুর তরবারি হাতে চলে যেতে গিয়েও পারল না। ফিরে এসে মহানবীর হাতে হাত রেখে পাঠ করলঃ
"লা- ইলাহা  ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।"

যে তিনটি জিনিস গুনাহ মাফ করে

রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

১. তিনটি জিনিস গুনাহ মাফ করে,
২. তিনটি জিনিস মর্যাদা বৃদ্ধি করে,
৩. তিনটি জিনিস নাজাত দেয়,
৪. আর তিনটি জিনিস ধ্বংস করে।
.
১. যে তিনটি জিনিস গুনাহ
মাফ করে তা হচ্ছে:
.
ক. প্রচণ্ড শীতে নিখুঁতভাবে ওযু করা,
খ. এক সলাতের পর পরবর্তী
সলাতের জন্য অপেক্ষায় থাকা
গ. সালাতের জন্য জামা'আতে
গমন করা।
.
২. যে তিনটি জিনিস
মর্যাদা বৃদ্ধি করে তা হল:
.
ক. (ক্ষুধার্তকে) খাদ্য খাওয়ানো,
খ. বেশি বেশি সালামের প্রচলন করা
গ. রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে
থাকে তখন সালাত আদায় করা।
.
৩. যে তিনটি জিনিস নাজাত
দেয় তা হল:
.
ক. (ব্যক্তিগত) ক্রোধ বা সন্তুষ্টি
উভয় অবস্থায় ন্যায় বিচার করা,
খ. দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থায়
মধ্যম জীবন যাপন করা
গ. গোপন ও প্রকাশ্য উভয়
অবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা।
.
৪. আর যে তিনটি জিনিস
ধ্বংস করে তা হল:
.
ক. কৃপণতার নীতি অনুসরণ করা,
খ. প্রবৃত্তির খেয়াল খুশি মত চলা
গ. অহঙ্কার করা।
 
[সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব,
হাদীস নাম্বার ৪৫০, হাদীসটি হাসান]

বুখারি ও মুসলিম

যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে সে দোযখে প্রবেশ করবে না


হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে সে দোযখে প্রবেশ করবে না যে পর্যন্ত দুধ স্তনে ফিরে না আসে। আর আল্লাহর পথে জিহাদের ধুলোবালি এবং দোযখের ধোঁয়া কখনো একত্রিত হবে না।

                                                                                             (বুখারি ও মুসলিম )

"সবাই আমাকে টিটকারী দেয়"

উমারের (রা) ছেলের কান্না........

মক্তব থেকে এসে খলীফা উমারের ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। উমার (রা) তাকে টেনে জিজ্ঞাসা করলেন, কাঁদছ কেন বৎস?
ছেলে উত্তর দিল, "সবাই আমাকে টিটকারী দেয়।" বলে, "দেখনা জামার ছিরি, চৌদ্দ জায়গায় তালি। বাপ নাকি আবার মুসলিম জাহানের শাসনকর্তা।" বলে ছেলেটি তার কান্নার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল।
ছেলে কথা শুনে উমার (রা) ভাবলেন কিছুক্ষন।তারপর বাইতুল মা'লের কোষাধ্যক্ষকে লিখে পাঠালেন, "আমাকে আগামী মাসের ভাতা থেকে চার দিরহাম ধার দেবেন।" উত্তরে কোষাধ্যক্ষ তাঁকে লিখে জানালেন, "আপনি ধার নিতে পারেন। কিন্তু কাল যদি আপনি মারা যান তাহলে কে আপনার ধার শোধ করবে?"
উমার (রা) ছেলের গা-মাথা নেড়ে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, "যাও বাবা, যা আছে তা পরেই মক্তবে যাবে। আমাদের তো আর অনেক টাকা পয়সা নেই। আমি খলীফা সত্য, কিন্তু ধন সম্পদ তো সবই জন সাধারণের।"

How to make arabic language in shamela

Making arabic language in shamela      

Friends! At today's "maktabatul shamela" Tutorial about how language h... more details

How to add language english,arabic bangla in ms word

     Friends of those who work in ms word that went a problem, Arabic, English, B...  click here

Noor Solution

"Ladies and Gentlemen" NOOR SOLUTION (Light Solution) You are welcome to the party. Friends! We are constantly faced with ...
                                        more.....

Muslim women Features:

ইসলামে নারীর মর্যাদা

         ইসলাম নারীকে মর্যাদা দিয়েছে, দান করেছে তাদের এমন বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে তাদেরকে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সেগুলো সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছে। সে বৈশিষ্টাবলীর কিছু নিম্নে প্রদান করা হল:
ক) নারীকে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে যে, নারীরা তাদের সমস্ত শরীর অপরিচিত পুরুষ হতে ঢেকে রাখবে, যাতে করে তাকে গোপন তীর আঘাত করতে না পারে। এবং তার সতীত্ব ও পবিত্রতা কালিমা যুক্ত না হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন―
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا ﴿الأحزاب : 59﴾
হে নবী ! আপনি আপনার পত্নী, কন্যা এবং মোমিনদের স্ত্রী-গণ কে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[9]
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন-
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ.﴿﴿النور : ৩১﴾
এবং ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।আর সাধারণত: যা প্রকাশমান, তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য যেন প্রদর্শন না করে। এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ-দেশে ফেলে রাখে।[10]
খ) ইসলাম পুরুষকে রক্তের সম্পর্কবিহীন নারীর সাথে একাকিত্বে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করেছে, যদিও সে নিকট আত্মীয় হয়। যেমন চাচাত ভাই, মামাত ভাই, দেবর ইত্যাদি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―
إياكم والدخول على النساء. الترمذي (১০৯১)
মহিলাদের নিকট প্রবেশ করা থেকে সাবধান! [11]
আনসারদের একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি কি দেবরের কথা বলছেন ? রাসূল­হ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
الحمو الموت. البخاري (৪৮৩১)
প্রফেসর ওয়াল্টার ওয়াগনার
[অনেক বছর ধরে কুরআন শরিফ সতর্কতার সাথে অধ্যয়ন করে নেতৃস্থানীয় আমেরিকান গবেষক প্রফেসর ওয়াগনার এই উপসংহারে উপনীত হয়েছেন যে, এই পবিত্র গ্রন্থের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সব মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। এই বক্তব্যই ওয়াগনার পাঠক, শিক্ষার্থী এমনকি নিজেকেও জানাতে চেয়েছেন গভীরতর উপলব্ধির জন্য। তার লেখা ওপেনিং দি কুরআন (কুরআনকে উন্মুক্ত করা) একটি বিস্ময়কর বই, যা মুসলিম-অমুসলিম এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী নির্বিশেষে সবাইকে প্রেরণা জোগাবে। বইটিতে অনন্যভঙ্গিতে ধাপে ধাপে আল কুরআনের সামগ্রিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আংকারা থেকে প্রকাশিত সানডে’জ জামান পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে কুরআনের সাথে তার পরিচয় সম্পর্কে বিশদ বলেছেন।]

প্রশ্ন : প্রথমে আপনি খ্রিষ্টধর্মের আদিযুগের ওপর কাজ করছিলেন। তাই জানতে ইচ্ছা করে, আল কুরআন সম্পর্কে বই লেখার প্রেরণা পেলেন কিভাবে?
উত্তর : বিশ বছরেরও বেশি দিন ধরে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে এটি লিখেছি। আমি মনে করি, মাত্র কুরআন বুঝতে শুরু করেছি। তবে প্রকৃতপক্ষে ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মধ্যে শুধু ধর্মতত্ত্ব ও সংস্কৃতি নয়, ইতিহাসের দিক দিয়েও সম্পর্ক রয়েছে।
অতীতে কোনো কোনো সময়ে আমরা একে অন্যের মাথায় মাথা লাগিয়ে ধাক্কা মেরেছি, অন্যান্য সময়ে সশস্ত্র সঙ্ঘাতে হয়েছি লিপ্ত। তবে আমরা একই স্রষ্টার উপাসনা করি। অভিজ্ঞতা থেকে বলব, এই উপাসনার জন্য অন্যের ধর্মকে বোঝার পথ খোলা রাখা চাই।
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, মুসলিম নারী-পুরুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি! বিশেষ করে তুর্কি সম্প্রদায়কে জেনেছি গত সাত বছর। পূর্বোক্ত বইটি লেখার একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল, পরস্পরকে বোঝা যখন জরুরি, তখন প্রথমে নিজেকে বিষয়টি বুঝানো এবং এরপর অন্যদেরকে বুঝিয়ে বলা।

প্রশ্ন : আপনি যখন কুরআন শরিফ পড়ছিলেন, তখন কার কণ্ঠের কথা আপনার মনে পড়েছিল? কথা বলছিলেন কে?
উত্তর : আমি বিশ্বাস করি, কুরআন প্রত্যাদেশমূলক গ্রন্থ। বিধাতা অনেক ব্যক্তি, অনেক নবী-রাসূল, বার্তাবাহকের মাধ্যমে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন। কুরআনে আমাদের উদ্দেশে কথা বলে মহান স্রষ্টারই কণ্ঠ। এটি শান্তি ও সুবিচারের কণ্ঠ। এই কণ্ঠ সে সব মানুষের কথা বলে যারা শান্তিতে একত্রে থাকা দরকার মনে করে আর প্রয়োজন বোধ করে বিশ্বের অন্য সবার জন্য এক হয়ে কাজ করার। আমি সেই কণ্ঠ শুনেছি। সেই কণ্ঠ পাঠক ও শিক্ষার্থীদের এবং আমার উপলব্ধি গভীর করার জন্য নিজেকেও শোনাতে চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন : আপনি আরবি পড়তে পারেন কি না নিশ্চিত নই। সম্ভবত অনুবাদের ওপর জোর দিয়েছেন। কিভাবে কাজ করেছেন, অধ্যয়ন করলেন?
উত্তর : অমুসলিম হিসেবে কুরআন প্রথম কয়েক দফা পড়াটা সম্ভবত বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। আমরা যারা বাইবেলের ঐতিহ্য থেকে এসেছি, তাদের প্রত্যাশা হলো কুরআনেও বাইবেলের জেনেসিস, এক্সোডাস কিংবা গসপেল অব মার্কের মতো বিভিন্ন অধ্যায়ের দেখা পাবো। হ্যাঁ, কুরআনেও বিভিন্ন অংশে ভাগ করা আছে। সবগুলো মিলে একটি পূর্ণরূপ পেয়েছে। কুরআন বারবার পড়তে হয়। এ বিষয়ে চিন্তা করতে হয় বারবার আর বোঝার জন্য মাথা চুলকাতে হয় বহুবার। তবে আমি মনে করি, প্রথম পদক্ষেপ হলো, উৎসাহ না হারানো। পয়লা পরামর্শ দেবো, কুরআনকে পেছন থেকে শুরু করে সামনের দিকে পড়–ন নবীকে বোঝার জন্য। তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। কুরআনের সাথে অন্যরা কী বলেছেন, তা-ও পড়তে হয়।

প্রশ্ন : বাইবেলীয় ঐতিহ্য ও কুরআনের মিলগুলো কী কী, আর গরমিলই বা কী, আমাদের বলুন।
উত্তর : মৌলিক পার্থক্য হলো, বাইবেল ও কুরআনের পরস্পর থেকে ভিন্ন প্রকৃতি। অবশ্য বাইবেল ও কুরআনে অভিন্ন ত্রিশজন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। একটি বিষয় হলো (মুসলিম শিক্ষার্থীরাও যার সাক্ষ্য দেবে), উভয় গ্রন্থে কোনো কোনো সময়ে আমরা একই ভাষা ও শব্দ পাই। তবে মূলনীতি ও ধারণা পরস্পর পৃথক।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কুরআনের প্রতিটি শব্দ, প্রত্যেক বর্ণ আল্লাহ-প্রদত্ত। বাইবেল সম্পর্কে খ্রিষ্টানরা এটা মনে করে না। নির্দিষ্ট কোনো ভাষার প্রতি খ্রিষ্টানদের বিশেষ আকর্ষণ বা শ্রদ্ধা নেই। আমরা বাইবেলের অনুবাদ পড়তেই স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এর পাণ্ডুলিপির বিভিন্নতা এবং একই কাহিনীর নানারকম বয়ান দেখেও আমি অস্বস্তি বোধ করি না। মুসলিম ছাত্রছাত্রী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আসল ঘটনা কী?’ খ্রিষ্টান হিসেবে আমার কাছে এটা সমস্যা নয়। তবে শিক্ষক হিসেবে মুসলমানদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেয়া এবং মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিভঙ্গি জানার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাকে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা অভিন্ন অনেক নবীর ওপর বিশ্বাস রাখি। তবুও তাদের সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা পৃথক। আমাদের উভয়ের একই বিশ্বাস যা, তা হলো একজন মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি তাঁর প্রতি বাধ্য থাকতে বলেন। তিনি বিশ্বাসীদের একটি সমাজ নির্মাণ করতে বলেন, যারা তাঁর ইচ্ছা পূরণ ও উপাসনার জন্য উৎসর্গিত। অবশ্য, বার্তাবাহক ও নবী বলতে কী বুঝায়, সে ব্যাপারে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মাঝে বড় পার্থক্য আছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, একজন নবী শুধু ঐশী প্রত্যাদেশপ্রাপ্তই নন, তাঁকে পরিপূর্ণও হতে হবে। তাই বাইবেল পড়ে মুসলমানরা কারো কারো ব্যভিচার ও খুন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কারণ এগুলো ঘৃণ্য অপরাধ। তাদের প্রশ্ন, ‘যারা এমন পাপী, তোমরা তার অনুসরণ কিভাবে করতে পারো?’

প্রশ্ন : খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে ঈসা আ:, মুহাম্মদ সা: এবং অন্যদের কিভাবে চিত্রিত করা হয়েছে? তাঁদের মিল-অমিল কী কী?
উত্তর : আমার মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা সব সময়ই তাদের খ্রিষ্টান সহপাঠীদের অবাক করে দেয়, যখন তারা জানায়, ‘ভালো মুসলিম হতে হলে ঈসা আ:-এর ওপরও ঈমান আনতে হবে।’ তিনি কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। অলৌকিক কাজকর্ম করেছেন; তিনি ক্ষুধার্তকে খাইয়েছেন, রুগ্ণকে করেছেন সুস্থ, মৃতকে করেছিলেন পুনর্জীবিত। তাঁকে মসিহ বলা হয়। পৃথিবীর শেষ যুগে তিনি আসবেন আবার। তিনি ছিলেন শিক্ষক; তাঁর ছিল শিষ্য। তিনি মানুষকে আহ্বান করেছেন আল্লাহর পথ অনুসরণের দিকে। কুরআনে ঈসা আ:-কে এভাবে তুলে ধরার সাথে বাইবেলের মিল রয়েছে। অবশ্য খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মূল পার্থক্য হলো, ঈসা আ:-কে ক্রুশে বিদ্ধ করা এবং তাঁর পুনরুত্থান প্রসঙ্গ।

মূসা আ:-সহ অন্য নবীদের কয়েকজন প্রসঙ্গে কুরআনে যা বলা হয়েছে, তার সাথে মিল আছে ইহুদিদের বিশ্বাসে। অর্থাৎ এই দুইয়ের মাঝে সঙ্ঘাত নয়, সম্পর্ক বিদ্যমান। আর আমি সহজ কথায় যা বুঝি, তা হচ্ছে মূসা আ: এলেন এবং সরকারকাঠামো প্রতিষ্ঠা করলেন। অপর দিকে ঈসা আ: এসে মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনের সন্ধান দিয়েছেন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই। খ্রিষ্টানরা পরবর্তীকালে এটা যোগ করেছে। নবী মুহম্মদ সা: এলেন। তিনি এমন একজন, যাঁর ‘পার্থিব’ ও ‘আধ্যাত্মিক’ দু’টি দিকই আছে। তিনি উভয়কে একত্র করেছেন। স্রষ্টা বিশ্বকে ভালোবাসেন এবং এর পরিচর্যা করেন। অতএব আপনাদেরকেও অবশ্যই এ কাজ করতে হবে। একই বিধাতা নবীদেরকে পাঠিয়েছেন।

প্রশ্ন : কুরআন অধ্যয়ন করে কিভাবে প্রভাবিত হয়েছেন? এটা কি আপনার জীবনে কোনোভাবে পরিবর্তন এনেছে?
উত্তর : এর মাধ্যমে যে ক’টি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে, তার একটি হলো আমি নামাজের ভিত্তিতে ইসলাম ও কুরআন বুঝতে পেরেছি। নামাজের খুবই পবিত্র একটা অনুভূতি আছে এবং নামাজের মধ্য দিয়ে একটি জীবন গড়ে তোলা যায়। ইসলাম সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ বুঝেছি। এতে ধারণা হয়েছে, এই ধর্মের ভিত্তি হলো সৃষ্টিতত্ত্ব। আমার ওপর এ বিষয়টির প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে নৈতিকভাবে।

আগামী সংখ্যায় সমাপ্য
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3849#sthash.y1a2Twce.dpuf
প্রফেসর ওয়াল্টার ওয়াগনার
[অনেক বছর ধরে কুরআন শরিফ সতর্কতার সাথে অধ্যয়ন করে নেতৃস্থানীয় আমেরিকান গবেষক প্রফেসর ওয়াগনার এই উপসংহারে উপনীত হয়েছেন যে, এই পবিত্র গ্রন্থের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সব মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। এই বক্তব্যই ওয়াগনার পাঠক, শিক্ষার্থী এমনকি নিজেকেও জানাতে চেয়েছেন গভীরতর উপলব্ধির জন্য। তার লেখা ওপেনিং দি কুরআন (কুরআনকে উন্মুক্ত করা) একটি বিস্ময়কর বই, যা মুসলিম-অমুসলিম এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী নির্বিশেষে সবাইকে প্রেরণা জোগাবে। বইটিতে অনন্যভঙ্গিতে ধাপে ধাপে আল কুরআনের সামগ্রিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আংকারা থেকে প্রকাশিত সানডে’জ জামান পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে কুরআনের সাথে তার পরিচয় সম্পর্কে বিশদ বলেছেন।]

প্রশ্ন : প্রথমে আপনি খ্রিষ্টধর্মের আদিযুগের ওপর কাজ করছিলেন। তাই জানতে ইচ্ছা করে, আল কুরআন সম্পর্কে বই লেখার প্রেরণা পেলেন কিভাবে?
উত্তর : বিশ বছরেরও বেশি দিন ধরে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে এটি লিখেছি। আমি মনে করি, মাত্র কুরআন বুঝতে শুরু করেছি। তবে প্রকৃতপক্ষে ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মধ্যে শুধু ধর্মতত্ত্ব ও সংস্কৃতি নয়, ইতিহাসের দিক দিয়েও সম্পর্ক রয়েছে।
অতীতে কোনো কোনো সময়ে আমরা একে অন্যের মাথায় মাথা লাগিয়ে ধাক্কা মেরেছি, অন্যান্য সময়ে সশস্ত্র সঙ্ঘাতে হয়েছি লিপ্ত। তবে আমরা একই স্রষ্টার উপাসনা করি। অভিজ্ঞতা থেকে বলব, এই উপাসনার জন্য অন্যের ধর্মকে বোঝার পথ খোলা রাখা চাই।
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, মুসলিম নারী-পুরুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি! বিশেষ করে তুর্কি সম্প্রদায়কে জেনেছি গত সাত বছর। পূর্বোক্ত বইটি লেখার একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল, পরস্পরকে বোঝা যখন জরুরি, তখন প্রথমে নিজেকে বিষয়টি বুঝানো এবং এরপর অন্যদেরকে বুঝিয়ে বলা।

প্রশ্ন : আপনি যখন কুরআন শরিফ পড়ছিলেন, তখন কার কণ্ঠের কথা আপনার মনে পড়েছিল? কথা বলছিলেন কে?
উত্তর : আমি বিশ্বাস করি, কুরআন প্রত্যাদেশমূলক গ্রন্থ। বিধাতা অনেক ব্যক্তি, অনেক নবী-রাসূল, বার্তাবাহকের মাধ্যমে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন। কুরআনে আমাদের উদ্দেশে কথা বলে মহান স্রষ্টারই কণ্ঠ। এটি শান্তি ও সুবিচারের কণ্ঠ। এই কণ্ঠ সে সব মানুষের কথা বলে যারা শান্তিতে একত্রে থাকা দরকার মনে করে আর প্রয়োজন বোধ করে বিশ্বের অন্য সবার জন্য এক হয়ে কাজ করার। আমি সেই কণ্ঠ শুনেছি। সেই কণ্ঠ পাঠক ও শিক্ষার্থীদের এবং আমার উপলব্ধি গভীর করার জন্য নিজেকেও শোনাতে চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন : আপনি আরবি পড়তে পারেন কি না নিশ্চিত নই। সম্ভবত অনুবাদের ওপর জোর দিয়েছেন। কিভাবে কাজ করেছেন, অধ্যয়ন করলেন?
উত্তর : অমুসলিম হিসেবে কুরআন প্রথম কয়েক দফা পড়াটা সম্ভবত বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। আমরা যারা বাইবেলের ঐতিহ্য থেকে এসেছি, তাদের প্রত্যাশা হলো কুরআনেও বাইবেলের জেনেসিস, এক্সোডাস কিংবা গসপেল অব মার্কের মতো বিভিন্ন অধ্যায়ের দেখা পাবো। হ্যাঁ, কুরআনেও বিভিন্ন অংশে ভাগ করা আছে। সবগুলো মিলে একটি পূর্ণরূপ পেয়েছে। কুরআন বারবার পড়তে হয়। এ বিষয়ে চিন্তা করতে হয় বারবার আর বোঝার জন্য মাথা চুলকাতে হয় বহুবার। তবে আমি মনে করি, প্রথম পদক্ষেপ হলো, উৎসাহ না হারানো। পয়লা পরামর্শ দেবো, কুরআনকে পেছন থেকে শুরু করে সামনের দিকে পড়–ন নবীকে বোঝার জন্য। তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। কুরআনের সাথে অন্যরা কী বলেছেন, তা-ও পড়তে হয়।

প্রশ্ন : বাইবেলীয় ঐতিহ্য ও কুরআনের মিলগুলো কী কী, আর গরমিলই বা কী, আমাদের বলুন।
উত্তর : মৌলিক পার্থক্য হলো, বাইবেল ও কুরআনের পরস্পর থেকে ভিন্ন প্রকৃতি। অবশ্য বাইবেল ও কুরআনে অভিন্ন ত্রিশজন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। একটি বিষয় হলো (মুসলিম শিক্ষার্থীরাও যার সাক্ষ্য দেবে), উভয় গ্রন্থে কোনো কোনো সময়ে আমরা একই ভাষা ও শব্দ পাই। তবে মূলনীতি ও ধারণা পরস্পর পৃথক।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কুরআনের প্রতিটি শব্দ, প্রত্যেক বর্ণ আল্লাহ-প্রদত্ত। বাইবেল সম্পর্কে খ্রিষ্টানরা এটা মনে করে না। নির্দিষ্ট কোনো ভাষার প্রতি খ্রিষ্টানদের বিশেষ আকর্ষণ বা শ্রদ্ধা নেই। আমরা বাইবেলের অনুবাদ পড়তেই স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এর পাণ্ডুলিপির বিভিন্নতা এবং একই কাহিনীর নানারকম বয়ান দেখেও আমি অস্বস্তি বোধ করি না। মুসলিম ছাত্রছাত্রী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আসল ঘটনা কী?’ খ্রিষ্টান হিসেবে আমার কাছে এটা সমস্যা নয়। তবে শিক্ষক হিসেবে মুসলমানদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেয়া এবং মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিভঙ্গি জানার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাকে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা অভিন্ন অনেক নবীর ওপর বিশ্বাস রাখি। তবুও তাদের সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা পৃথক। আমাদের উভয়ের একই বিশ্বাস যা, তা হলো একজন মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি তাঁর প্রতি বাধ্য থাকতে বলেন। তিনি বিশ্বাসীদের একটি সমাজ নির্মাণ করতে বলেন, যারা তাঁর ইচ্ছা পূরণ ও উপাসনার জন্য উৎসর্গিত। অবশ্য, বার্তাবাহক ও নবী বলতে কী বুঝায়, সে ব্যাপারে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মাঝে বড় পার্থক্য আছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, একজন নবী শুধু ঐশী প্রত্যাদেশপ্রাপ্তই নন, তাঁকে পরিপূর্ণও হতে হবে। তাই বাইবেল পড়ে মুসলমানরা কারো কারো ব্যভিচার ও খুন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কারণ এগুলো ঘৃণ্য অপরাধ। তাদের প্রশ্ন, ‘যারা এমন পাপী, তোমরা তার অনুসরণ কিভাবে করতে পারো?’

প্রশ্ন : খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে ঈসা আ:, মুহাম্মদ সা: এবং অন্যদের কিভাবে চিত্রিত করা হয়েছে? তাঁদের মিল-অমিল কী কী?
উত্তর : আমার মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা সব সময়ই তাদের খ্রিষ্টান সহপাঠীদের অবাক করে দেয়, যখন তারা জানায়, ‘ভালো মুসলিম হতে হলে ঈসা আ:-এর ওপরও ঈমান আনতে হবে।’ তিনি কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। অলৌকিক কাজকর্ম করেছেন; তিনি ক্ষুধার্তকে খাইয়েছেন, রুগ্ণকে করেছেন সুস্থ, মৃতকে করেছিলেন পুনর্জীবিত। তাঁকে মসিহ বলা হয়। পৃথিবীর শেষ যুগে তিনি আসবেন আবার। তিনি ছিলেন শিক্ষক; তাঁর ছিল শিষ্য। তিনি মানুষকে আহ্বান করেছেন আল্লাহর পথ অনুসরণের দিকে। কুরআনে ঈসা আ:-কে এভাবে তুলে ধরার সাথে বাইবেলের মিল রয়েছে। অবশ্য খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মূল পার্থক্য হলো, ঈসা আ:-কে ক্রুশে বিদ্ধ করা এবং তাঁর পুনরুত্থান প্রসঙ্গ।

মূসা আ:-সহ অন্য নবীদের কয়েকজন প্রসঙ্গে কুরআনে যা বলা হয়েছে, তার সাথে মিল আছে ইহুদিদের বিশ্বাসে। অর্থাৎ এই দুইয়ের মাঝে সঙ্ঘাত নয়, সম্পর্ক বিদ্যমান। আর আমি সহজ কথায় যা বুঝি, তা হচ্ছে মূসা আ: এলেন এবং সরকারকাঠামো প্রতিষ্ঠা করলেন। অপর দিকে ঈসা আ: এসে মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনের সন্ধান দিয়েছেন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই। খ্রিষ্টানরা পরবর্তীকালে এটা যোগ করেছে। নবী মুহম্মদ সা: এলেন। তিনি এমন একজন, যাঁর ‘পার্থিব’ ও ‘আধ্যাত্মিক’ দু’টি দিকই আছে। তিনি উভয়কে একত্র করেছেন। স্রষ্টা বিশ্বকে ভালোবাসেন এবং এর পরিচর্যা করেন। অতএব আপনাদেরকেও অবশ্যই এ কাজ করতে হবে। একই বিধাতা নবীদেরকে পাঠিয়েছেন।

প্রশ্ন : কুরআন অধ্যয়ন করে কিভাবে প্রভাবিত হয়েছেন? এটা কি আপনার জীবনে কোনোভাবে পরিবর্তন এনেছে?
উত্তর : এর মাধ্যমে যে ক’টি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে, তার একটি হলো আমি নামাজের ভিত্তিতে ইসলাম ও কুরআন বুঝতে পেরেছি। নামাজের খুবই পবিত্র একটা অনুভূতি আছে এবং নামাজের মধ্য দিয়ে একটি জীবন গড়ে তোলা যায়। ইসলাম সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ বুঝেছি। এতে ধারণা হয়েছে, এই ধর্মের ভিত্তি হলো সৃষ্টিতত্ত্ব। আমার ওপর এ বিষয়টির প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে নৈতিকভাবে।

আগামী সংখ্যায় সমাপ্য
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3849#sthash.y1a2Twce.dpuf
প্রফেসর ওয়াল্টার ওয়াগনার
[অনেক বছর ধরে কুরআন শরিফ সতর্কতার সাথে অধ্যয়ন করে নেতৃস্থানীয় আমেরিকান গবেষক প্রফেসর ওয়াগনার এই উপসংহারে উপনীত হয়েছেন যে, এই পবিত্র গ্রন্থের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সব মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। এই বক্তব্যই ওয়াগনার পাঠক, শিক্ষার্থী এমনকি নিজেকেও জানাতে চেয়েছেন গভীরতর উপলব্ধির জন্য। তার লেখা ওপেনিং দি কুরআন (কুরআনকে উন্মুক্ত করা) একটি বিস্ময়কর বই, যা মুসলিম-অমুসলিম এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী নির্বিশেষে সবাইকে প্রেরণা জোগাবে। বইটিতে অনন্যভঙ্গিতে ধাপে ধাপে আল কুরআনের সামগ্রিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আংকারা থেকে প্রকাশিত সানডে’জ জামান পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে কুরআনের সাথে তার পরিচয় সম্পর্কে বিশদ বলেছেন।]

প্রশ্ন : প্রথমে আপনি খ্রিষ্টধর্মের আদিযুগের ওপর কাজ করছিলেন। তাই জানতে ইচ্ছা করে, আল কুরআন সম্পর্কে বই লেখার প্রেরণা পেলেন কিভাবে?
উত্তর : বিশ বছরেরও বেশি দিন ধরে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে এটি লিখেছি। আমি মনে করি, মাত্র কুরআন বুঝতে শুরু করেছি। তবে প্রকৃতপক্ষে ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মধ্যে শুধু ধর্মতত্ত্ব ও সংস্কৃতি নয়, ইতিহাসের দিক দিয়েও সম্পর্ক রয়েছে।
অতীতে কোনো কোনো সময়ে আমরা একে অন্যের মাথায় মাথা লাগিয়ে ধাক্কা মেরেছি, অন্যান্য সময়ে সশস্ত্র সঙ্ঘাতে হয়েছি লিপ্ত। তবে আমরা একই স্রষ্টার উপাসনা করি। অভিজ্ঞতা থেকে বলব, এই উপাসনার জন্য অন্যের ধর্মকে বোঝার পথ খোলা রাখা চাই।
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, মুসলিম নারী-পুরুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি! বিশেষ করে তুর্কি সম্প্রদায়কে জেনেছি গত সাত বছর। পূর্বোক্ত বইটি লেখার একটা বড় উদ্দেশ্য ছিল, পরস্পরকে বোঝা যখন জরুরি, তখন প্রথমে নিজেকে বিষয়টি বুঝানো এবং এরপর অন্যদেরকে বুঝিয়ে বলা।

প্রশ্ন : আপনি যখন কুরআন শরিফ পড়ছিলেন, তখন কার কণ্ঠের কথা আপনার মনে পড়েছিল? কথা বলছিলেন কে?
উত্তর : আমি বিশ্বাস করি, কুরআন প্রত্যাদেশমূলক গ্রন্থ। বিধাতা অনেক ব্যক্তি, অনেক নবী-রাসূল, বার্তাবাহকের মাধ্যমে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন। কুরআনে আমাদের উদ্দেশে কথা বলে মহান স্রষ্টারই কণ্ঠ। এটি শান্তি ও সুবিচারের কণ্ঠ। এই কণ্ঠ সে সব মানুষের কথা বলে যারা শান্তিতে একত্রে থাকা দরকার মনে করে আর প্রয়োজন বোধ করে বিশ্বের অন্য সবার জন্য এক হয়ে কাজ করার। আমি সেই কণ্ঠ শুনেছি। সেই কণ্ঠ পাঠক ও শিক্ষার্থীদের এবং আমার উপলব্ধি গভীর করার জন্য নিজেকেও শোনাতে চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন : আপনি আরবি পড়তে পারেন কি না নিশ্চিত নই। সম্ভবত অনুবাদের ওপর জোর দিয়েছেন। কিভাবে কাজ করেছেন, অধ্যয়ন করলেন?
উত্তর : অমুসলিম হিসেবে কুরআন প্রথম কয়েক দফা পড়াটা সম্ভবত বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। আমরা যারা বাইবেলের ঐতিহ্য থেকে এসেছি, তাদের প্রত্যাশা হলো কুরআনেও বাইবেলের জেনেসিস, এক্সোডাস কিংবা গসপেল অব মার্কের মতো বিভিন্ন অধ্যায়ের দেখা পাবো। হ্যাঁ, কুরআনেও বিভিন্ন অংশে ভাগ করা আছে। সবগুলো মিলে একটি পূর্ণরূপ পেয়েছে। কুরআন বারবার পড়তে হয়। এ বিষয়ে চিন্তা করতে হয় বারবার আর বোঝার জন্য মাথা চুলকাতে হয় বহুবার। তবে আমি মনে করি, প্রথম পদক্ষেপ হলো, উৎসাহ না হারানো। পয়লা পরামর্শ দেবো, কুরআনকে পেছন থেকে শুরু করে সামনের দিকে পড়–ন নবীকে বোঝার জন্য। তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। কুরআনের সাথে অন্যরা কী বলেছেন, তা-ও পড়তে হয়।

প্রশ্ন : বাইবেলীয় ঐতিহ্য ও কুরআনের মিলগুলো কী কী, আর গরমিলই বা কী, আমাদের বলুন।
উত্তর : মৌলিক পার্থক্য হলো, বাইবেল ও কুরআনের পরস্পর থেকে ভিন্ন প্রকৃতি। অবশ্য বাইবেল ও কুরআনে অভিন্ন ত্রিশজন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। একটি বিষয় হলো (মুসলিম শিক্ষার্থীরাও যার সাক্ষ্য দেবে), উভয় গ্রন্থে কোনো কোনো সময়ে আমরা একই ভাষা ও শব্দ পাই। তবে মূলনীতি ও ধারণা পরস্পর পৃথক।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কুরআনের প্রতিটি শব্দ, প্রত্যেক বর্ণ আল্লাহ-প্রদত্ত। বাইবেল সম্পর্কে খ্রিষ্টানরা এটা মনে করে না। নির্দিষ্ট কোনো ভাষার প্রতি খ্রিষ্টানদের বিশেষ আকর্ষণ বা শ্রদ্ধা নেই। আমরা বাইবেলের অনুবাদ পড়তেই স্বচ্ছন্দ বোধ করি। এর পাণ্ডুলিপির বিভিন্নতা এবং একই কাহিনীর নানারকম বয়ান দেখেও আমি অস্বস্তি বোধ করি না। মুসলিম ছাত্রছাত্রী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আসল ঘটনা কী?’ খ্রিষ্টান হিসেবে আমার কাছে এটা সমস্যা নয়। তবে শিক্ষক হিসেবে মুসলমানদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেয়া এবং মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিভঙ্গি জানার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাকে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা অভিন্ন অনেক নবীর ওপর বিশ্বাস রাখি। তবুও তাদের সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা পৃথক। আমাদের উভয়ের একই বিশ্বাস যা, তা হলো একজন মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি তাঁর প্রতি বাধ্য থাকতে বলেন। তিনি বিশ্বাসীদের একটি সমাজ নির্মাণ করতে বলেন, যারা তাঁর ইচ্ছা পূরণ ও উপাসনার জন্য উৎসর্গিত। অবশ্য, বার্তাবাহক ও নবী বলতে কী বুঝায়, সে ব্যাপারে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মাঝে বড় পার্থক্য আছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, একজন নবী শুধু ঐশী প্রত্যাদেশপ্রাপ্তই নন, তাঁকে পরিপূর্ণও হতে হবে। তাই বাইবেল পড়ে মুসলমানরা কারো কারো ব্যভিচার ও খুন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কারণ এগুলো ঘৃণ্য অপরাধ। তাদের প্রশ্ন, ‘যারা এমন পাপী, তোমরা তার অনুসরণ কিভাবে করতে পারো?’

প্রশ্ন : খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে ঈসা আ:, মুহাম্মদ সা: এবং অন্যদের কিভাবে চিত্রিত করা হয়েছে? তাঁদের মিল-অমিল কী কী?
উত্তর : আমার মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা সব সময়ই তাদের খ্রিষ্টান সহপাঠীদের অবাক করে দেয়, যখন তারা জানায়, ‘ভালো মুসলিম হতে হলে ঈসা আ:-এর ওপরও ঈমান আনতে হবে।’ তিনি কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। অলৌকিক কাজকর্ম করেছেন; তিনি ক্ষুধার্তকে খাইয়েছেন, রুগ্ণকে করেছেন সুস্থ, মৃতকে করেছিলেন পুনর্জীবিত। তাঁকে মসিহ বলা হয়। পৃথিবীর শেষ যুগে তিনি আসবেন আবার। তিনি ছিলেন শিক্ষক; তাঁর ছিল শিষ্য। তিনি মানুষকে আহ্বান করেছেন আল্লাহর পথ অনুসরণের দিকে। কুরআনে ঈসা আ:-কে এভাবে তুলে ধরার সাথে বাইবেলের মিল রয়েছে। অবশ্য খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের মূল পার্থক্য হলো, ঈসা আ:-কে ক্রুশে বিদ্ধ করা এবং তাঁর পুনরুত্থান প্রসঙ্গ।

মূসা আ:-সহ অন্য নবীদের কয়েকজন প্রসঙ্গে কুরআনে যা বলা হয়েছে, তার সাথে মিল আছে ইহুদিদের বিশ্বাসে। অর্থাৎ এই দুইয়ের মাঝে সঙ্ঘাত নয়, সম্পর্ক বিদ্যমান। আর আমি সহজ কথায় যা বুঝি, তা হচ্ছে মূসা আ: এলেন এবং সরকারকাঠামো প্রতিষ্ঠা করলেন। অপর দিকে ঈসা আ: এসে মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনের সন্ধান দিয়েছেন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই। খ্রিষ্টানরা পরবর্তীকালে এটা যোগ করেছে। নবী মুহম্মদ সা: এলেন। তিনি এমন একজন, যাঁর ‘পার্থিব’ ও ‘আধ্যাত্মিক’ দু’টি দিকই আছে। তিনি উভয়কে একত্র করেছেন। স্রষ্টা বিশ্বকে ভালোবাসেন এবং এর পরিচর্যা করেন। অতএব আপনাদেরকেও অবশ্যই এ কাজ করতে হবে। একই বিধাতা নবীদেরকে পাঠিয়েছেন।

প্রশ্ন : কুরআন অধ্যয়ন করে কিভাবে প্রভাবিত হয়েছেন? এটা কি আপনার জীবনে কোনোভাবে পরিবর্তন এনেছে?
উত্তর : এর মাধ্যমে যে ক’টি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে, তার একটি হলো আমি নামাজের ভিত্তিতে ইসলাম ও কুরআন বুঝতে পেরেছি। নামাজের খুবই পবিত্র একটা অনুভূতি আছে এবং নামাজের মধ্য দিয়ে একটি জীবন গড়ে তোলা যায়। ইসলাম সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ বুঝেছি। এতে ধারণা হয়েছে, এই ধর্মের ভিত্তি হলো সৃষ্টিতত্ত্ব। আমার ওপর এ বিষয়টির প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে নৈতিকভাবে।

আগামী সংখ্যায় সমাপ্য
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3849#sthash.y1a2Twce.dpuf

Geology / History surprising fact

ভূতত্ত্ব/ইতিহাস বিস্ময়কর সত্য


• ইরাম নামে একটি শহরের কথা বলা আছে, যেখানে অনেকগুলো পাথরের লম্বা স্তম্ভ আছে, যা কিনা ১৯৯২ সালে চ্যালেঞ্জার মহাকাশ যানের রাডার ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছে - ৮৯:৭। এর আগে মানুষ এই শহরের কথা জানত না, অথচ কু’রআনে এর কথা বলা ছিল।
• মানব সভ্যতার উন্নতি ধারাবাহিক ভাবে হয়নি, বরং আগে কিছু জাতি এসেছিল যারা আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, যারা ধ্বংস হয়ে গেছে – ৪০:৮২, ৩০:৯, ২০:১২৮।
• কু’রআনে ফেরাউনের সময় মিশরে যে সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ, মহামারীর কথা বলা আছে, তা কু’রআন প্রকাশিত হবার হাজার বছর পরে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন হায়ারো গ্লিফিক লিপি ‘ইপুয়ার’-এ হুবহু একই ঘটনাগুলোর বর্ণনা পাওয়া গেছে, যা এর আগে কখনও জানা ছিল না – ৭:১৩০, ৭:১৩৩, ২৬:৫৭-৫৯।

Science of Quran

কুরআনে বিজ্ঞান

জীব বিজ্ঞান বিস্ময়কর সত্য

• বাতাস শস্যকে পরাগিত করে – ১৫:২২।
• মৌমাছির একাধিক পাকস্থলী আছে। কর্মী মৌমাছিরা স্ত্রী মৌমাছি, তারা পুরুষ নয়। মধুর অনেক ঔষধি গুণ আছে – ১৬:৬৮-৬৯।
• গবাদি পশুর খাবার হজম হবার পর তা রক্তের মাধ্যমে একটি বিশেষ গ্রন্থিতে গিয়ে দুধ তৈরি করে, যা আমরা খেতে পারি – ১৬:৬৬।
• স্ত্রী পিপড়া তার পেটের কাছে অবস্থিত একটি অঙ্গ দিয়ে শব্দ করে অন্য পিপড়াদের সাথে কথা বলতে পারে এবং নির্দেশ দেয়, যা সাম্প্রতিক কালে মানুষের পক্ষে যন্ত্র ব্যবহার করে ধরা গেছে – ২৭:১৮।
• উদ্ভিদের পুরুষ এবং স্ত্রী লিঙ্গ আছে – ১৩:৩।
• গম শীষের ভেতরে রেখে দিলে তা সাধারণ তাপমাত্রায়ও কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে এবং তা সংরক্ষণ করার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থার দরকার হয় না – ১২:৪৭।
• উঁচু ভুমিতে ফুল ও ফলের বাগান ভালো ফসল দেয়, কারণ উচু জমিতে পানি জমে থাকতে পারে না এবং পানির খোঁজে গাছের মূল অনেক গভীর পর্যন্ত যায়, যার কারণে মূল বেশি করে মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে। তবে শস্য, যেমন আলু, গম ইত্যাদি ফসলের জন্য উল্টোটা ভালো, কারণ তাদের জন্য ছোট মূল দরকার, যা মাটির উপরের স্তর থেকে পুষ্টি নেয় – ২:২৬৫।
• গাছে সবুজ ক্লোরোফিল রয়েছে – ৬:৯৯।
• রাত হচ্ছে বিশ্রামের জন্য, আর দিন হচ্ছে কাজের জন্য, কারণ দিনের বেলা সূর্যের আলো আমাদের রক্ত চলাচল, রক্তে সুগার, কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ, পেশিতে শক্তি, মানসিক ভারসাম্য, মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে– ২৮:৭৩।

কবীরা গুনাহ

১৫টি কবীরা গুনাহ

১) আল্লাহর সাথে শিরক করা
২) নামায পরিত্যাগ করা
৩) পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া
৪) অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
৫) পিতা মাতাকে অভিসম্পাত করা
৬) যাদু টোনা করা
৭) এতীমের সম্পদ আত্নস্যাৎ করা
৮) জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা
৯) সতী সাধ্বী মুমিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
১০)রোযানা রাখা
১১)যাকাত আদায় না করা
১২)হজ্জ না করা
১৩) যাদুর বৈধতা বিশ্বাস করা
১৪) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া
১৫)অহংকার করা

যাকাতের ওয়াজিব ও ফরজের শর্ত

যাকাত এর নিছাব

নিছাব বলা হয় শরীয়তের নির্ধারিত আর্থিক নিম্নতম সীমা বা পরিমাণকে অর্থাৎ কোন মুসলমান স্বাধীন বালেগ বালেগাহ-এর নিকট হাওয়ায়েজে আছলিয়াহ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মাল-সামানা, বাদ দিয়ে কর্জ ব্যতীত নিজ মালিকানাধীন সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ মূল্য পূর্ণ এক বছর থাকা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় একেই ‘নিছাব’ বলে। মালের প্রকৃত ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মালের নিছাব বিভিন্ন।

যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী

নিম্ন বর্ণিত দশ প্রকার গুণ সম্পন্ন লোকের উপর যাকাত ফরয-
(১) মুসলমান হওয়া।
(২) বালেগ হওয়া।
(৩) জ্ঞানবান হওয়া।
(৪) স্বাধীন হওয়া।
(৫) নিছাব পরিমান মালের পূর্ণ মালিক হওয়া।
(৬) যাকাতের মালের পূর্ণ মালিকানা থাকা।
(৭) নিছাব কর্যমুক্ত হওয়া।
(৮) নিছাব পরিমান মাল হাওয়ায়েজে আছলিয়ার অতিরিক্ত হওয়া।
(৯) মাল বর্ধনশীল হওয়া।
(১০) নিছাবের মালের বৎসর শেষ হওয়া।
(দলীলসমূহ: (১) আলমগীরী, (২) আইনুল হিদায়া, (৩) বাহরুর রায়িক, (৪) ফতওয়ায়ে আমিনীয়া ইত্যাদি।)

যাদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়

যাদের ওপর যাকাতওয়াজিব তারা তিন প্রকার:
১. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
২. যাদের সম্পদের ওপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। তবে ফসলের ক্ষেত্রে এক বছর অতিবাহিত হওয়া জরুরি নয় বরং ফসলের জাকাতের সম্পর্ক ফসল পাকার সাথে।
৩. ফলের যাকাতওয়াজিব হয় যখন তা পরিপক্কতা লাভ করে এবং খাওয়ার উপযোগী হয়।
* যাকাতওই সব লোকের ওপর ওয়াজিব হয় যাদের নিকট সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা তৎসমান অর্থ প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক বছর যাবৎ রিজার্ভ বা জমা আছে

মৃত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলছেন

মৃত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলছেন,


وَمَا يَسْتَوِي الْأَحْيَاءُ وَلَا الْأَمْوَاتُ إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَنْ يَشَاءُ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ ﴿22﴾ (فاطر:22)
আর জীবিতরা ও মৃতরা এক নয়; নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শুনাতে পারেন, কিন্তু যে ব্যক্তি কবরে আছে তাকে তুমি শুনাতে পারবে না। 

                                                                                   [সূরা ফাতির:২২]

আল্লাহর ৯৯টি নাম

আল্লাহকে তার ৯৯টি নামেই ডাকার অভ্যাস করুন।


১. আল্লাহ্ (الله) - আল্লাহ্‌ (The Greatest Name)
২. আর রহিম (الرحمن) - পরম দয়ালু (The Exceedingly Merciful)
৩. আর রহমান (الرحيم) - পরম দয়াময় (The Exceedingly Compassionate, The Exceedingly Beneficent, The Exceedingly Gracious)
৪. আল জাব্বার (الملك) - পরাক্রমশালী (The Irresistible, The Compeller)
৫. আল ʿআজিজ (العزيز) - সর্বশক্তিমান, বলশালী (The Almighty, The Invulnerable, The Honorable, The Victorious)
৬. আল মুহায়মিন (المهيمن) - রক্ষণ ব্যবস্থাকারী (The Guardian)
৭. আল মুʿমিন (العزيز) - নিরাপত্তা বিধায়ক (The Guarantor, The Affirming, The Inspirer of Faith)
৮. আস সালাম (السلام) - শান্তি বিধায়ক (The Peace, The Source of Peace and Safety)
৯. আল কুদ্দুস (القدوس) - নিষ্কলুষ (The Holy, The Divine, The Pure One, The Purifier)
১০. আল মালিক (الملك) - সর্বাধিকারী (The King, The Sovereign, The Absolute Ruler)
১১. আল ওয়াহহাব (الوهاب) -মহা বদান্য (The Bestower, The Giver of All)
১২. আল কাহহার (القهار) -মহাপরাক্রান্ত (The Subduer)
১৩. আল গাফফার (الغفار) - মহা ক্ষমাশীল (The Repeatedly Forgiving, The Forgiving)
১৪. আল মুসাওবির (المصور) - রূপদানকারী (The Fashioner, The Shaper, The Designer, The Shaper of Beauty)
১৫. আল বারী (البارئ) - উন্মেষকারী (The Evolver, The Developer, The Maker of Order)
১৬. আল খালিক (الخالق) - সৃষ্টিকারী (The Creator)
১৭. আল মুতাকাব্বির (المتكبر) -অহংকারের ন্যায্য অধিকারী (The Majestic, The Supreme, The Greatest)
১৮. আল রাফিʿ (الرافع) - উন্নয়নকারী (The Exalter)
১৯. আল খাফিদ (الخَافِض) - অবনমনকারী (The Abaser, The Humiliator)
২০. আল বাসিত (الباسط) -সম্প্রসারণকারী (The Extender / Expander, The Reliever)
২১. আল কাবিদ (القابض) -সংকোচনকারী (The Restrainer, The Straightener, The Constrictor)
২২. আল আলীম (العليم) - মহাজ্ঞানী (The All-Knowing, The Knower of All, Omniscient)
২৩. আল ফাত্তাহ (الفتاح) - মহাবিজয়ী, বিজয়দানকারী (The Opener, The Victory Giver)
২৪. আর রাজ্জাক (الرزاق) - জীবিকা দাতা (The Provider, The Sustainer)
২৫. আল লাতিফ (اللطيف) - সুক্ষদক্ষতাসম্পন্ন (The Gentle, The Subtly Kind, The Subtle One)
২৬. আল ʿআদল (العدل) - ন্যায়নিষ্ঠ (The Utterly Just)
২৭. আল হাকাম (الحكم) - মিমাংসাকারী (The Judge, The Arbitrator)
২৮. আল বাসির (البصير) - সর্ব দ্রষ্টা (The All Seeing)
২৯. আস সামীʿ (السميع) - সর্বশ্রোতা (The All Hearing)
৩০. আল মুযিল (المذل) - হতমানকারী (The Giver of Dishonor, The Humiliator)
৩১. আল মুʿইয্ (المعز) - সম্মানদাতা (The Giver of Honor, The Bestower of Honors)
৩২. আল কাবীর (الكبير) - বিরাট, মহৎ (The Greatest)
৩৩. আল ʿআলী (العلي) - অত্যুচ্চ (The Sublime, The Highest)
৩৪. আশ শাকুর (الشكور) - গুণগ্রাহী (The Grateful, The Rewarder of Thankfulness)
৩৫. আল গফুর (الغفور) - ক্ষমাশীল (The Much-Forgiving, The Forgiver and Hider of Faults)
৩৬. আল ʿআজীম (العظيم) - মহিমাময় (The Magnificent)
৩৭. আল হালীম (الحليم) - সহিষ্ণু (The Forbearing, The Indulgent)
৩৮. আল খাবীর (الخبير) - সর্বজ্ঞ (The All Aware)
৩৯. আল মুজিব (المجيب) - প্রার্থনা গ্রহণকারী (The Responsive, The Answerer, The Responder to Prayer)
৪০. আর রাকীব (الرقيب) - নিরীক্ষণকারী (The Watchful One)
৪১. আল কারীম (الكريم) - মহামান্য (The Bountiful, The Generous)
৪২. আল জালীল (الجليل) - প্রতাপশালী (The Majestic, The Mighty)
৪৩. আল হাসীব (الحسيب) - মহাপরীক্ষক (The Bringer of Judgment, The Accounter)
৪৪. আল মুকিত (المقيت) - আহার্য দাতা (The Nourisher)
৪৫. আল হাফীজ (الحفيظ) - মহারক্ষক (The Preserver)
৪৬. আল হাক্ক (الحق) - সত্য (The Truth, The Reality)
৪৭. আশ শাহীদ (الشهيد) - প্রত্যক্ষকারী (The Witness)
৪৮. আল বাইছ (الباعث) - পুনরুত্থানকারী (The Resurrector)
৪৯. আল মাজীদ (المجيد) - গৌরবময় (All-Glorious, The Majestic One)
৫০. আল ওয়াদুদ (الودود) - প্রেমময় (The Loving One)
৫১. আল হাকীম (الحكيم) – বিচক্ষণ (The All-Wise, The Perfectly Wise)
৫২. আল ওয়াসিʿ (الواسع)- সর্বব্যাপী (The Vast, The All-Embracing, The All-Comprehending, The Omnipresent, The Boundless)
৫৩. আল মুবদী (المبدئ)- আদি স্রষ্টা (The Originator, The Producer, The Initiator)
৫৪. আল মুহসী (المحصي) - হিসাবগ্রহণকারী (The Accounter, The Numberer of All, The Appraiser)
৫৫. আল হামিদ (الحميد) - প্রশংসিত (The All Praiseworthy, The Praised One)
৫৬. আল ওয়ালী (الولي) - অভিভাবক (The Friend, Patron and Helper)
৫৭. আল মাতীন (المتين) - দৃঢ়তাসম্পন্ন (The Firm, The Steadfast, The Forceful One)
৫৮. আল কায়ুয়ী (القوي) - শক্তিশালী (The Strong, The Possessor of All Strength)
৫৯. আল ওয়াকীল (الوكيل) - তত্বাবধায়ক (The Trustee, The Dependable, The Advocate)
৬০. আল মাজিদ (المجيد) - মহান (All-Glorious, The Majestic)
৬১. আল ওয়াজিদ (الواجد) - অবধারক (The Perceiver, The Finder, The Unfailing)
৬২. আল কায়্যুম (القيوم) - স্বয়ংস্থিতিশীল (The Subsisting, The Self-Existing One)
৬৩. আল হায়্যু (الحي) - জীবিত (The Living, The Ever Living One)
৬৪. আল মুমীত (المميت) - মরণদাতা (The Bringer of Death, The Taker of Life)
৬৫. আল মুহয়ী (المحيي) - জীবনদাতা (The Giver of Life)
৬৬. আল মুʿঈদ (المعيد) - পুনঃসৃষ্টিকারী (The Restorer, The Reinstater Who Brings Back All)
৬৭. আল আওয়াল (الأول) - অনাদী (The First, The Beginning-less)
৬৮. আল মুʾয়াখখীর (المؤخر) - পশ্চাদবর্তীকারী (The Delayer, He Who Puts Far Away)
৬৯. আল মুকাদ্দিম (المقدم) - অগ্রবর্তীকারী (The Expediter, He Who Brings Forward)
৭০. আল মুকতাদীর (المقتدر) - প্রবল, পরাক্রম (The Creator of All Power)
৭১. আল কাদীর (القادر) - শক্তিশালী (The All-Powerful, He Who is able to do Everything)
৭২. আস সামাদ (الصمد) - অভাবমুক্ত (The Eternal, The Absolute, The Self-Sufficient, The Satisfier of All Needs)
৭৩. আল ওয়াহিদ (الواحد) - একক (The One, The Unique, The All Inclusive, The Indivisible)
৭৪. আত তাওয়াব (التواب) - তওবা গ্রহণকারী (The Ever Returning, Ever Relenting, The Guide to Repentance)
৭৫. আল বার্র (البر) - ন্যায়বান (The Good, The Beneficent, The Doer of Good)
৭৬. আল মুতাʿআলী (المتعالي) - সুউচ্চ (The Supremely Exalted, The Most High, The Supreme One)
৭৭. আল ওয়ালী (الوالي) - কার্য নির্বাহক (The Patron, The Protecting Friend, The Friendly Lord, The Governor)
৭৮. আল বাতিন (الباطن) - গুপ্ত (The Hidden One, The Unmanifest, The Inner)
৭৯. আল জাহির (الظاهر) - প্রকাশ্য (The Manifest One, The Evident, The Outer)
৮০. আল আখির (الأخر) - অনন্ত (The Last, The Endless)
৮১. আল মুকসিত (المقسط) - ন্যায়পরায়ণ (The Requiter, The Equitable One)
৮২. যুল জালাল ওয়ালইকরাম (ذو الجلال والإكرام) - মহিমান্বিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ (The Lord of Majesty and Generosity, The Lord of Majesty and Bounty)
৮৩. মালিকুল মুলক (مالك الملك) - রাজ্যের মালিক (The Owner of all Sovereignty, The Owner of All)
৮৪. আর রাʾউফ (الرؤوف) - কোমল হৃদয় (The Kind, The Pitying, The Clement)
৮৫. আল আʿওউফ (العفو) - ক্ষমাকারী (The Pardoner, The Effacer, The Forgiver)
৮৬.আল মুনতাকীম (المنتقم) - প্রতিশোধ গ্রহণকারী (The Avenger)
৮৭. আল হাদী (الهادي) - পথ প্রদর্শক (The Guide, The Way)
৮৮. আন নাফীʿ (النافع) - কল্যাণকর্তা (The Propitious, The Benefactor, The Source of Good, The Creator of Good)
৮৯. আদ দারর (الضار) - ( তাগুতের) অকল্যাণকর্তা (The Distressor, The Harmer, The Afflictor, The Creator of The Harmful)
৯০. আল মানিʿ (المانع) - প্রতিরোধকারী (The Withholder, The Shielder, The Defender, The Preventer of Harm)
৯১. আল মুগনী (المغني) - অভাবমোচনকারী (The Enricher, The Emancipator)
৯২. আল গানী (الغني) - সম্পদশালী (The Rich One, The Independent)
৯৩. আল জামিʿ (الجامع) - একত্রীকরণকারী (The Gatherer, The Unifier)
৯৪. আস সাবুর (الصبور) - ধৈর্যশীল (The Timeless, The Patient One)
৯৫. আল রশীদ (الرشيد) - সত্যদর্শী (The Guide to the Right Path, The Righteous Teacher)
৯৬. আল ওয়ারিছ (الوارث) - উত্তরাধিকারী (The Heir, The Inheritor of All)
৯৭. আল বাকী (الباقي) - চিরস্থায়ী (The Immutable, The Infinite, The Everlasting One)
৯৮. আল বাদীʿ (البديع) - অভিনব সৃষ্টিকারী (The Incomparable, The Unattainable, The Originator)
৯৯. আন নূর (النور) - জ্যোতি (The Light)

উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে

নবীজি (সা:) তার কথা শুনে অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন

         উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! একেক জনের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। নবীজি (সা:) গুনে দেখলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই...
একজন তার চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খোজার জন্য।... হঠাৎ বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির (সা:) কাছে। নবী (সা:) তাকে চিনলেন না।- মহিলা বললেন; ইয়া রাসুলুল্লাহ গতকাল আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে?
নবীজি (সা:) বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। -
মহিলা বললেন; ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুকায় নাই। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২ টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হানজালা। বাসর রাতে তার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেনঃ "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে"
- মহিলা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্বন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার জন্য গোসল ফরজ।
নবীজি (সা:) তার কথা শুনে অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন?
 নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুলুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে।
--- সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন। জিবরাঈল (আ:) আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুলুল্লাহ হানজালার কুরবানিতে আল্লাহ্পাক এতটাই খুশি হয়েছেন যে তিনি জিব্রাইলের (আ:) বাহিনিকে আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। .
..ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে যে সুগন্ধ দেখছেন এটা আল্লাহ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতর ধারা কাফনের কাপড়ে ঢুকিয়েছি।
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার

কালেমা সমূহঃ

কালেমা তাইয়্যেবাঃ

لَا اِلَهَ اِلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْ لُ الله
‪#‎উচ্চারণঃ‬ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ।
‪#‎অনুবাদঃ‬ আল্লাহ ভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেহই নাই। হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাঁহার প্রেরিত রসূল।

কালেমা শাহাদাতঃ

اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيْكَ لَهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُه
‪#‎উচ্চারনঃ‬ আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাছুলুহু ।
#অনুবাদঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে , অল্লাহ ভিন্ন আর কেহই ইবাদতের উপযুক্ত নাই তিনি এক তাঁহার কোন অংশীদার নাই । আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং তাঁহার প্রেরিত নবী ।

কালেমা-ই তাওহীদঃ

لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ وَاحِدَ لَّاثَانِىَ لَكَ مُحَمَّدُرَّ سُوْلُ اللهِ اِمَامُ الْمُتَّقِيْنَ رَسُوْ لُرَبِّ الْعَلَمِيْنَ
#উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহেদাল্লা ছানীয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা ইমামুল মোত্তাকীনা রাছুলুরাবি্বল আলামীন।
#অনুবাদঃ আল্লাহ ভিন্ন কেহ এবাদতের যোগ্য নাই। তিনি এক তাঁহার অংশীদার নাই মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সোত্তাকীনদের (ধর্মভীরুগণের) ইমাম এবং বিশ্বপালকের প্রেরিত।

কালেমা-ই তামজীদঃ

لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ نُوْرَ يَّهْدِىَ اللهُ لِنُوْرِهِ مَنْ يَّشَاءُ مُحَمَّدُ رَّسَوْ لُ اللهِ اِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَا تَمُ النَّبِيِّنَ
#উচ্চারনঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা নুরাইইয়াহ দিয়াল্লাহু লিনুরিহী মাইয়্যাশাউ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামূল মুরছালীনা খাতামুন-নাবিয়্যীন।
#অনুবাদঃ হে খোদা! তুমি ব্যতীত কেহই উপাস্য নাই, তুমি জ্যোতিময় । তুমি যাহাকে ইচ্ছা আপন জ্যোতিঃ প্রদর্শন কর । মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রেরিত পয়গম্বরগণের ইমাম এবং শেষ নবী।

ঈমান‬-ই মুজমালঃ

امَنْتُ بِاللهِ كَمَا هُوَ بِاَسْمَائِه وَصِفَاتِه وَقَبِلْتُ جَمِيْعَ اَحْكَامِه وَاَرْكَانِه
#উচ্চারণঃ আ-মানতু বিল্লা-হি কামা-হুয়া বিআসমা-ইহী ওয়া সিফা-তিহী ওয়া ক্বাবিলতু জামী-আ আহকা-মিহী ওয়া আরকা-নিহী।
‪#‎অর্থঃ‬ আমি আল্লাহ তা’আলার উপর ঈমান আনলাম। তিনি যেমন, তার নামসমূহ ও তাঁর গুণাবলী সহকারে এবং আমি গ্রহণ করেছি তার সমস্ত বিধান ও আরকানকে।

ঈমান-ই-মুফাসসালঃ

امَنْتُ بِاللهِ وَمَلئِكَتِه وَكُتُبِه وَرَسُوْلِه وَالْيَوْمِ الْاخِرِ وَالْقَدْرِ خَيْرِه وَشَرِّه مِنَ اللهِ تَعَالى وَالْبَعْثِ بَعْدَالْمَوْتِ
#উচ্চারণঃ আ-মানতু বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসূলিহী ওয়াল ইয়াউমিল আ-খিরী, ওয়াল ক্বাদরি খায়রিহী-ওয়া শাররিহী মিনাল্লা-হি তাআলা ওয়াল বা’সি বা’দাল মাওত।
#অর্থঃ আমি ঈমান আনলাম আল্লাহর উপর তাঁর ফিরিশতাদের উপর, তাঁর আসমানী কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিবসের উপর আর এর উপর যে, অদৃষ্টের ভাল-মন্দ আল্লাহ তা’আলার তরফ হতে এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর।

যাকাত

যাকাত আদায়কারী তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যায়


হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) হতে বণিত| তিনি বলেন রাসুল সাঃ ইরশাদ করেছেন যখন তোমাদের নিকট যাকাত আদায়কারী আসবে তখন সে যেন তোমাদের নিকট থেকে তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যায়|                                                                         (মুসলিম)

JANNAT 8 Doors Name - Islam

The following are Jannat Doors name according to the serial number

1.Jannatul Mava
2.Darul Maqaam
3.Darul salaam
4.Darul Khuld
5.Jannat-Ul-Adan
6.Jannat-Ul-Neem
7.Jannat-Ul-Kasif
8.Janat-ul-Firdos

হযরত উমর (রাঃ)

রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব জনগনের খোজ খবর রাখা


       একদিন চলার পথে হযরত উমরের (রাঃ) সাথে এক বৃদ্ধার দেখা হল। কথা প্রসঙ্গে উমর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, 'আমীরুল মুমিনীন সম্পর্কে তোমার ধারণা কি?' বৃদ্ধা উমর (রাঃ) কে চিনতেন না। সে নির্বিঘ্নে বলল, 'সে মোটেও ভাল মানুষ নয়। আমি অতি কষ্টে আছি, খলীফা আমার কোন খবর নেয়নি।'
উমর (রাঃ) বললেন, 'তুমি খলীফাকে তোমার অবস্থার কথা কেন বলোনি? তাঁকে না জানালে তিনি কি করে জানবেন?' বৃদ্ধা মহিলাটি বলল, 'খলীফার দায়িত্ব প্রজাদের খোঁজ খবর রাখা।' উমর (রাঃ) বললেন, 'হে মা! কি পরিমাণ অর্থ পেলে তোমার দুঃখ ঘুচবে আর তুমি খলীফাকে ক্ষমা করে দিবে?'
সে সময় হযরত আলী (রাঃ) ও আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) সে পথ দিয়ে যেতে খলীফাকে 'আমীরুল মুমিনীন' বলে সম্বোধন করে সালাম দিলেন। বৃদ্ধা মহিলাটি ভয়ে কেঁপে উঠলো। উমর (রাঃ) তাকে সান্ত্বনা দিয়ে ৫০০ স্বর্ণমুদ্রা তার হাতে তুলে দিয়ে বললেন, 'খলীফার বিরুদ্ধে তোমার আর কোন অভিযোগ আছে কিনা?' তিনি বললেন, 'না'।
হযরত উমর (রাঃ) এক খন্ড চামড়ার উপর কথাটি লিখিয়ে নিলেন, 'কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার দরবারে আমীরুল মুমিনীন হযরত উমরের বিরুদ্ধে আমার আর কোন অভিযোগ নেই।' হযরত আলী তাতে সাক্ষিরূপে সাক্ষর করলেন।
হজরত ওমরা (রাঃ) এর ন্যায় নিষ্ঠা সততার একটি মাত্র উদাহরন পেশ করলাম।এরকম কয়েক হাজার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হযরত ওমর (রাঃ) সম্পর্কে।এই ওমর সম্পর্কে ভারতের মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন দেশ স্বাধীন হলে আমি ওমরের মত দেশ চালাবো।
অথচ এই ওমর ছিলেন আল্লহর রাসুল (সাঃ) অজস্র সৈনকের মধ্যে একজন সৈনিক।যার সৈনিকের চরিত্র এমন হতে পারে ঐ সেনাপতির চরিত্র কেমন হতে পারে?
পৃথিবীর ইতিহাসে জন্ম লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত শাষক এবং প্রজাদের মধ্যে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন একজন শাষকের নাম বলুন ইসলামের ইতিহাস বাদ দিয়ে।কাল মার্ক্স ,লেলিন,স্টালিন থেকে শুরু করে এরিস্টটল সকলের জীবনী তন্ন তন্নকরে ঘাটুন।এরকম একটি দৃষ্টান্ত বের করে আনতে পারবেন না চ্যালেঞ্জ।

প্রতিদিন একটি করে হাদিস






































আরো জানতে ক্লিক করুন 



যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট

সুরা ত্বলাক-৩ 

 ومن يتوكل علي الله فهو حسبه إن الله بالغ أمره قد جعل الله لكل شىء قدرا
 
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমান স্থির করে রেখেছেন। 

তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ

সূরা বাকারা-১১৫


 و لله المشرق والمغرب فأينما تولوا فثم وجه الله إن الله واسع عليم


পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই ! অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যপী ,সর্বজ্ঞ। 


নীচু স্বরে কথা বলা


সূরা লুকমান-১৯

واقصد في مشيك واغضض من صوتك إن أنكر الاصوات لصوت الحمير

আর পদচারনায় মধ্য পন্থা অবলম্বন করবে এবং নীচু স্বরে কথা বলবে। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা কর্কশ। 

Al-Quran is the best Solution

দ্বীনের জন্য মেহনত করলে,আল্লাহ তাআলা হেদায়েতের যাবতীয় রাস্তা খুলে দিবেন


সূরা আনকাবুত -৬৯

والذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا وان الله لمع المحسنين


যারা আমার দ্বীনের জন্য মেহনত করে ,আমি তাদের জন্য আমার হেদায়েতের যাবতীয় রাস্তা খুলে দেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্কর্ম পরায়নদের সঙ্গে থাকেন।

মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই


সূরা হুজুরাত -১০

إنما المؤمنون إخوة فأصلحوا بين أخويكم واتقوا الله لعلكم ترحمون


মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা ভাইদের মধ্যে শান্তি স্থাপন কর,আর আল্লাহকে ভয় কর,যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়। 

ধৈর্য , আন্তরিকতা , অবিচলতা......


আমাদের সকলকেই বিপদে ধৈর্য ধারন করা উচিত






মুসাফাহা করলে গুনাহ মাফ হয়

সুন্নাত হলো দুজন মুসলমান দেখা হলে সালাম দিয়ে মুসাফাহা করা






দান সদকা করার কথা কাওকে না বলে বেড়ানো


الذين ينفقون اموالهم فى سبيل الله ثم لا يتبعون ما انفقوا منا ولا اذى لهم اجرهم عند ربهم ولا خوف عليهم ولا هم يحزنون


যাহারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের ধন - সম্পদ ব্যয় করে। অতপর যাহা ব্যয় করে তাহার কথা বলিয়া বেড়ায় না এবং কষ্টও দেয় না।  তাহাদের পুরস্কার তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে । তাহাদের কোনো ভয় নেই তাহারা দুঃখিতও হইবে না। 

সুরা বাকারা -২৬২

নম্র কথা বলা ও ক্ষমা প্রদর্শন করা


قول معروف ومغفرة خير من صدقة يتبعها اذى والله غنى حليم



নম্র কথা বলে দেয়া ও ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত হতে উত্তম ,যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ অভাবমুক্ত ,সহিঞ্চু। 

সুরা বাকারা-২৬৩