h

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার B ইউনিট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত
ভর্তি পরীক্ষার B ইউনিটের (আর্টস) এর পুরো প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো মিলিয়ে নিন।
‪#‎বাংলা‬
১. Reflections on the revolution in
France গ্রন্থের লেখকের নাম-
উত্তরঃ(গ) এন্ডমন্ড বার্ক
২.সাব-ইনস্পেক্টরের দ্বিতীয় বউ
আমার এক রকমের আত্নীয়া।একটি
তুলসী গাছের কাহিনী গল্পে এই
উক্তিটি করেছেন-
উত্তরঃ(ঘ) কাদের
৩.কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় তো
পল্লীগ্রামেরই ছেলে পাড়াগাঁয়ের–
তো মানুষ। বিলাসী গল্পের এ-
বাক্যের শূন্যস্হানে আছে- উত্তরঃ
(গ) তেলে-জলেই
.
৪. চন্দ্রবিন্দুর ভুল প্রয়োগ ঘটেছে
কোনটিতে-
উত্তরঃ(ঘ) কাঁচা
.
৫.চৌচালা টিনের ঘরের টুয়া সুস্পষ্ট।
কলিমদ্দি দফাদার গল্পে ব্যবহৃত
টুয়া হচ্ছে-
উত্তরঃ(গ) শীর্ষভাগ
.
৬.Discriminatory-এর পারিভাষিক
শব্দ-
উত্তরঃ(খ) বৈষম্যমূলক
.
৭. যেমন হাসতে পারাতো ছেলেটা
তেমনি গল্প করার ব্যাপারেও ছিল
ওস্তাদ -কার সম্পর্কে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ(ঘ) তপু
.
৮. কাদম্বিনী অর্থ- উত্তরঃ(গ)
মেঘমালা
.
৯.গবাদি শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ
কোনটি?
উত্তরঃ(গ) গো+আদি
.
১০. সে সৎ কিন্তু তার ভাই অসৎ।
বাক্যটি-
উত্তরঃ(গ) যৌগিক
.
১১. সনেট পঞ্চাশৎ কার রচনা?
উত্তরঃ(ঘ) প্রমথ চৌধুরী
.
১২. করপল্লব কোন সমাস? উত্তরঃ
(খ) উপমতি কর্মধারয়
.
১৩.শাস্ত্রকারেরা গার্হস্হ্য
ব্যাপারটিকে কী হিসেবে কল্পনা
করেছেন? উত্তরঃ(গ) মস্তক
.
১৪. অনুবব্ধ শব্দের সমার্থক শব্দ
কোনটি?
উত্তরঃ(ক) অনুরোধ
.
১৫. অলংকারের ধ্বনি- উত্তরঃ(ঘ)
শিজ্ঞন
.
১৬.কোন কোন বর্ন মিলে ষ্ণ
যুক্তবর্নটি গঠিত হয়েছে? উত্তরঃ
(ঘ) ষ্+ণ
.
১৭. প্রতিকৃতি শব্দটির উপসর্গ
কোন অর্থে ব্যবহৃত? উত্তরঃ(ক)
সাদৃশ্য
.
18. After meat comes mustered-
এর ঠিক অর্থ-উত্তরঃ(গ) নুন
আনতে পান্তা ফুরায়
.
১৯. স্মৃতিসৌধ শব্দের প্রমিত
উচ্চারণ-
উত্তরঃ(গ) সৃঁতিশোউধো
.
20.ছোটটি কোথায়? বাক্য ছোট
শব্দের শেষ টি-র ব্যাকরণিক পরিচয়
কী? উত্তরঃ(গ) পদাশ্রিত নির্দেশক
.
21. ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম অনুসারে
কোনটি অশুদ্ধ বানান? উত্তরঃ(ঘ)
বর্ননা
.
22. অনুচ্ছেদটিতে ড্যাস ও হাইফেন
চিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে যথাক্রমে-
উত্তরঃ(খ) ৪ বার ও১ বার
.
23.উর্দি ও কুচকাওয়াজ শব্দ বাংলা
ভাষায় এসেছে যথাক্রমে- উত্তরঃ
(খ) তুর্কি ও ফারসি থেকে
24. বৃদ্ধ বিশেষন পদের বিশেষ্য-রুপ-
উত্তরঃ(ক) বৃদ্ধি
.
25. অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত নিচের
কোনটি নঞ্ তৎপুরুষ সমাসের
দৃষ্টান্ত? উত্তরঃ(খ) অটল
.
‪#‎English‬
.
Fill in the blanks with suitable
word/s (Questions 1-9) :
.
1. After the governor’s third
overseas trip voters complained
that he was paying too little
attention to — affairs
Ans. (B) domestic
.
2. Since the island soil has been
barren for so many years, the
islanders must — much of their
food.
Ans. (B) import
.
3. Make sure you read all the —
carefully before setting up the
device.
Ans. (C) instructions
.
4. ‘Rose’ is often used as-for
beauty or the beautiful. Ans. (A) a
metaphor
.
5. ___Pohela Boishakh, there is a
festive mood all — the country.
Ans. (D) on, over
.
6. Nature finds ways to ensure
the survival of —. Ans. (A) the
fittest
.
7. Pinocchio is hungry and looks
for an egg to cook – an omelet;
but, to his surprise, the omelet
flies out of the window. D.
himself
.
8. He is hardworking and – C. so
am I
.
9. – did Kamal realize that there
was danger. Ans. (C) Only after
entering the bank
.
Choose the correct preposition to
fill in the gap (Question 10) :
.
10. We must discourage people
— throwing trash in public
places. Ans. (B) from
.
11. Which of the following is a
form of ‘die’? Ans. (C) dying
.
12. ‘No man is an island.’ What
does this proverb mean? Ans. (C)
Everyone needs help from other
people
.
13. Find a synonym for the word
‘vigorous’ from the options given
bellow: Ans. (C) strong and
energetic
.
14. choose the correct passive
sentence: Ans. (B) The meeting is
to be rescheduled.
.
15. Which word is spelt correctly?
Ans. (C) medieval
.
16. ‘মিনা বলল যে, সে অসুস্থ’ The
correct translation of this
sentence Is :
Ans. (C) Meena said that” she was
ill.
.
17. The word ‘vegetarian’ refers
to –
Ans. (C) mammals
.
18. Which of the following words
best replaces ‘revealed’ in the
sentence: Studies have revealed
that infections are associated
with cancers. Ans. (A) found
.
Read the passage below and
answer questions 19-23 :
.
Vultures are not careful about
what they eat. This makes them
vulnerable to eating meat that
could be toxic. The consequence
often is the death of these birds.
That is one reason why these
birds are not widely seen in
Bangladesh anymore. The other
is that the trees which vultures
perch on have also been
disappearing from the land. The
net result is the birds are not
present throughout the country
in the numbers in which they
were viewed a generation, or
even a decade, ago .
.
19. A suitable title for the
passage would be : Ans. (D)
Disappearing Vultures of
Bangladesh
.
20. ‘The net result’ is closest in
meaning to which of the
following words that have also
been used in the passage: Ans.
(A) consequence
.
21. An antonym for ‘toxic’ is: Ans.
(D) harmless
.
22. A ‘decade’ is the same as:
Ans. (B) ten years
.
23. ‘Widely’ used in the passage
is a/an: Ans. (B) adverb
.
Choose appropriate article/s
(Questions 24-25) :
.
24. Bangabandhu Sheikh Mujibur
Rahman Memorial Museum
stands as – symbol not only of the
greatest moments in our history
but also as evidence of the
darkest moment in – history of
this land. Ans.(C) a, the
.
25. One of Akbar’s most vigorous
opponents during his lifetime
had been – outstanding scholar
Sheikh Ahmed and, like Akbar, he
was also venerated as – Perfect
Man by his own disciples. Ans.(B)
an, a

‪#‎সাধারণ জ্ঞান‬
.
1.প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ
নির্মাণের পরিকল্পনা কোন নদীতে?
উত্তরঃ C. বরাক
.
2.হিন্দুমতে মান্ধাতা ছিলেন___যুগের
শাসক। উত্তরঃ A. সত্যযুগ
.
3.প্রথম নোবেল বিজয়ী নারী কে?
উত্তরঃ A. ম্যারি
.
4.মিশ্র অথ অথর্নৈতিক ব্যবস্থা
হলো উত্তরঃ C. সম্পত্তির ব্যক্তি
ও রাস্ট্রীয় মালিকানা
.
5.ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরটি যে জন্য
বিখ্যাত উত্তরঃ B. বইমেলা
.
6.ধানসিঁড়ি নদী কোন জেলায়
অবস্থিত?
উত্তরঃ C. ঝালকাঠি
.
7.জাতিসংঘের নারী-উন্নয়ন বিষয়ক
তহবিলের নাম উত্তরঃ B. ইউনিফেম
.
8.কোন জীবাশ্ম জ্বালানী নয়?
উত্তরঃ D. জৈবগ্যাস
.
9.নিচের কোনটি সাংবিধানিক
প্রতিষ্ঠান নয়? উত্তরঃ B. দুর্নীতি
দমন কমিশন
.
10.কোন বিপ্লব ‘স্বাধীনতা, সাম্য
ও ভ্রাতৃত্ব’-এ মূলমন্ত্র দ্বারা
অনুপ্রাণিত হয়েছিল? উত্তরঃ A.
ফরাসি বিপ্লব
.
11.Dreams From My Father বইটির
লেখক উত্তরঃ A. বারাক ওবামা
.
12.কোন দেশ বা সংস্থা
বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের
দেশ হিসেবে ঘোষণা করে?
উত্তরঃ C. বিশ্বব্যাংক
.
13.অবিভক্ত বাংলার শেষ
মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন
উত্তরঃ B. হোসেন শহীদ
সোহরাওয়ার্দি
.
14.ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ কে
নির্মাণ করেন? উত্তরঃ D. শায়েস্তা
খান
.
15.অ্যাবাকাস দিয়ে কী করা হয়?
উত্তরঃ A. গাণিতিক হিসাব
.
16.‘মোদের গরব মোদের আশা, অ-
মরি! বাংলা ভাষা’ গানের রচয়িতা
উত্তরঃ D. অতুল প্রসাদ সেন
.
17.বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো
পিকাসো জন্ম গ্রহণ করেন যে
দেশে উত্তরঃ D. স্পেন
.
18.চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন
বাংলায় আসেন যার সময়ে উত্তরঃ
A. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
.
19.ডেভিড ফ্রস্ট ছিলেন উত্তরঃ D.
একজন সাংবাদিক
.
20.কোন অর্থনীতি ‘অদৃশ্য হাত’
শব্দ দুটি ব্যবহার করেন? উত্তরঃ B.
অ্যাডাম স্মিথ
.
21.অথরা কণার অস্তিত্ব
আবিষ্কারে নেতৃত্ব দিয়েছেন
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
পদার্থবিজ্ঞানী? উত্তরঃB. এম
জাহিদ হাসান
.
22.বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত
সংশোধন করা হয়েছে উত্তরঃ D.
ষোলো বার
.
23.হিজরি সন কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ A. হজরত ওমর (রা.)
.
24.অর্থশাস্ত্রে অবদানের জন্য কে
বিখ্যাত?
উত্তরঃ A. কৌটিল্য
.
25.‘মনপুরা 70 কী? উত্তরঃ D. একটি
চিত্রকর্ম
.
26.ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম
সদস্য দেশ
উত্তরঃ C. তুরস্ক
.
27.‘বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস’ পালিত
হয়
উত্তরঃ A. 8 সেপ্টেম্বর
.
28.‘সুর সম্রাট’ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ B. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
.
.
29.মৌলিক দর্শনশাস্ত্র হিসেবে
বিবেচনা করা হয় কোনটিকে?
উত্তরঃ A. অধিবিদ্যা
.
30.আইএসবিএন যে উপকরণ
চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহৃত হয়
উত্তরঃ A. বই
.
31.চাকমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়
উৎসব কোনটি? উত্তরঃ A. বিজু
.
32.কোনটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান
নয়? উত্তরঃ D. সুন্দরবন
.
33.কোন দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা
বাংলা?
উত্তরঃ C. সিয়েরা লিওন
.
34.‘আসিয়ান’ সদস্য রাষ্ট্র নয়
উত্তরঃ B. শ্রীলঙ্কা
.
35.সম্রাট অশোক কোন বংশের
শাসক ছিলেন? উত্তরঃ B. মৌর্য
.
36.জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়
কোথায়?
উত্তরঃ D. জাপানে
.
37.‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটির
রচয়িতা কে?
উত্তরঃ D. শামসুর রহমান
.
38.ব্যাডমিন্টন যে দেশের জাতীয়
খেলা
উত্তরঃ B. মালয়েশিয়া
.
39.বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান
ছিলেন
উত্তরঃ B. ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
.
40.নিচের কোনটি ইউনেস্কো
কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে
ঘোষিত হয়েছে?
উত্তরঃ A. ষাট গম্বুজ মসজিদ
.
41.বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের
সময়ে ঢাকা ____এর অন্তর্ভূক্ত
ছিল। উত্তরঃ B. সেক্টর 2
.
42.নিচের কোন দিবসটি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’
হিসেবে পালিত হয়? উত্তরঃ A. 23
আগস্ট
.
43.নিচের কোন জায়গায় জমির
সামাজিক মালিকানা নেই? উত্তরঃ D.
চট্টগ্রাম
.
44.‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ উত্তরঃ
C. ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
.
45.ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর
উদ্ভাবক
উত্তরঃ B. টিমথি জন বার্নারস-লি
.
46.এক সকালে তুমি গলা ব্যথা ও
সর্দি নিয়ে ঘুম থেকে উঠলে।
ডাক্তার তোমাকে পরীক্ষা করে
বললেন এন্টিবায়োটিকে তোমার
রোগ ভালো হবে না। নিচের কোনটি
ডাক্তারের এরূপ মন্তব্যের কারণ
ব্যাখ্যা করে?
উত্তরঃ D. তোমার ভাইরাসের
সংক্রমণ ঘটেছে
.
47.‘ছিয়াত্তরের মন্বান্তর’ বাংলা
সনে সংঘটিত হয়? উত্তরঃ B. 1176
.
48.ভারত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
অবসান ঘটে কোন সালে? উত্তরঃ A.
1858
49.বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়
চুক্তি কার্যকর হয় 2015 সালের
কোন মাসে?
উত্তরঃ D. আগস্ট
.
50.গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান
লুম্বিনী হলো-
উত্তরঃ D. নেপালে

The fat burning kitchen

Healthy Food



These foods, commonly called “healthy” by experts, the media, and even the government, are actually silently harming the health of you and your family.  But if you’ll continue reading you’re going to discover why you should eat MORE foods such as delicious butter, cream, cheese, coconut fat, avocados, and juicy steaks. If it seems odd to you, I’ll explain more in the article below…



by Mike Geary, aka 'The Nutrition Watchdog'
Certified Nutrition Specialist, Best-Selling Author

http://a944394-t-x6ho4cu6s3h6vphl.hop.clickbank.net/

Facebook Auto Video Play stop

ফেসবুকে কিছু অভ্যন্তরীণ আডগ্রেডেশন হয়েছে। এ কারণেই গতকাল সোমবার রাতে কিছু সময়ের জন্য খুলতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে এরপর থেকেই ব্যবহারকারীদের জন্য একটা ঝামেলা দেখা দিয়েছে- অটো ভিডিও প্লে। অর্থাৎ নিউজ ফিডে স্ক্রল করে গেলে ভিডিওগুলো অটোমেটিক চালু হয়ে যাচ্ছে। এটা সবার জন্যই বিরক্তিকর। এছাড়া অপ্রয়োজনে প্রচুর ড্যাটা খরচও হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনি খুব সহজেই এটা বন্ধ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারেন। তার মানে আপনি কোনো ভিডিও দেখতে চাইলে ভিডিওর ওপর ক্লিক করে দেখবেন।
১. প্রথমে আপনার প্রোফাইলে যান। সেখান থেকে settings এ ক্লিক করুন। নিচে ছবিতে দেখুন।














২. এবার বাম পাশের মেন্যুতে একদম নিচে এ ক্লিক করুন। দেখবেন ভিডিও সেটিংস নামে একটি বক্স খুলবে। সেখানে দুই নম্বরে Auto-Play Videos এ দেখবেন Default করা আছে। ওই ড্রপডাউনে ক্লিক করে Off সিলেক্ট করে দিন। নিচে ছবিতে দেখুন :



কষ্টহীন মৃত্যু পেতে মহানবী (সা.) ছোট্ট এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন


ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, প্রতিটি নর-নারীর একদিন মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করতেই হবে। হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কষ্টহীন মৃত্যু পেতে কোন দোয়া পাঠ করতে হবে সেটা মহান আল্লাহ তায়ালাই কোরআনে বলে দিয়েছেন। আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই আয়তুল করসি বলেই জানি। দোয়াটি নিম্নরূপ:







আয়াতুল:কুরসী

اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاو ;َاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।(সূরা বাকারঃ ২৫৫)
আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত:
১.আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
২.এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।
৩.এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
৪.ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবং মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।
৫.ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)

Earn Money with Facebook Clicks

Yes! It's True! You can Get...
"$0.02 Cents Facebook Clicks!"

http://tinyurl.com/puqjod8



  • The truth behind Facebook advertising and how to get more 
  • sales, commission and leads while paying less
  • The best way to track campaigns, a free tool to do it and how to set it all up
  • You single most important reason for understanding your audience (the three questions you must know and ask)
  • The five reputable sources for offers for any niche and proven ways to choose an offer that sells
  • The ‘almost magic way’ to capture people’s attention with images
  • The correct way to pique your audience’s interest with a killer headline
  • The two most powerful words you should use in your headline that work and the 
  • one thing you should not include to avoid getting your ad being rejected
  • 12 power words for your headlines to hypnotize people into action
  • How to write 90 characters of body content that converts and the two elements that must be in your content and why
  • The type of content that Facebook looks for that causes them to reject your ad and how to avoid it
  • 10 power words for your content that create magnetic-like attraction to your offer
  • 4 elements you must have on your landing page and clear examples of excellent landing pages
  • How to squeeze the most out of your email marketing on Facebook so you can gain more leads faster and easier
  • A detailed guide to custom audiences and why it can mean the difference between making money or taking a loss
  • Simple and effective ways to find those interested in what you’re advertising
  • The free online tool for building a custom audience list that saves you time
  • Overlooked ways to use fan pages to construct custom audiences
  • How to get an existing campaign in front of you custom audience without confusion, mistakes or paying too much
  • The quick and simple trick to setting up an iFrame for your offers so you get the ad approved faster
  • The easiest method to create a Facebook tab on your fan page for lowering advertising costs
  • The #1 reason why you might want to send visitors to your videos and how it’s done

              http://tinyurl.com/puqjod8title_09

নবী করিম (সা.) নামাজকে আরোগ্যদানকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন

মহানবী সাঃ-এর চিকিৎসা 

 মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) চিকিৎসক ছিলেন না। কিন্তু নবীজী (সা.) ১৪০০ বছর আগে উম্মতের মানসিক ও দৈহিক রোগ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব মূল্যবান তথ্য প্রদান করে গেছেন, তা যুগে যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটা সুস্পষ্ট পথ পদর্শক। ‘তিব্বে নববী’ গ্রন্থটির আলোকে মহানবী সাঃ-এর চিকিৎসা বিধানের সামান্য কিছু তথ্য তুলে ধরা হলোঃ

নবী করিম (সা.) নামাজকে আরোগ্যদানকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। উনার কথাটির বিশ্লেষণে যাওয়া যাক­, সুস্থ দেহ ও মনের জন্য একান্ত জরুরি বিষয় হচ্ছে ব্যায়াম। যা নামাজের মাধ্যমেই উত্তমভাবে পালন করা যায়। লক্ষ করুন, যদি আমরা শুদ্ধ নিয়মে নামাজ আদায় করি তাহলে আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরই মুভমেন্ট হয়। ফলে রক্তসঞ্চালনও সুন্দরভাবে চলতে থাকে। যেমন­ সেজদা অবস্থায় হাত, পা, পেট, পিঠ, কোমর, রান ও শরীরের সব অঙ্গের জোড়া টানটান অবস্থায় থাকে। এ সময় রক্ত মস্তিষ্ক পর্যন্ত সঞ্চালিত হয়। আর সেজদা অবস্থায় মহিলাদের বুক রানের সাথে মিশে থাকে। এতে তাদের অভ্যন্তরীণ রোগ ব্যাধির উপশম হয়। অর্থাৎ নামাজ আত্মিক উন্নতির পাশাপাশি দৈহিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হাদিস শরিফে বিভিন্ন রোগ ও প্রতিষেধকেরও উল্লেখ আছে। যেমন­ নবীজী মেহেদিকে মাথাব্যথার প্রতিষেধক বলেছেন। তিনি এটাকে ফোঁড়া পাকায় এবং কাঁটা বিধলেও ব্যবহার করতেন। সূরা নাহলে মধুকে শেফাদানকারী ঘোষণা করা হয়েছে। আর নবীজীরও নির্দেশ, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকাল বেলায় মধু সেবন করবে তার কোনো কঠিন ব্যাধি হবে না।’

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ এটাই প্রমাণ করেছে, মধু অগণিত রোগের ওষুধ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন। তবে হ্যাঁ, মধু কোন রোগে কতটুকু ব্যবহার প্রয়োজন সে বিষয়ে গবেষণা করার দায়িত্ব চিকিৎসকদেরই। হাদিসে কালোজিরা ও সিনাকে সর্বরোগের ওষুধ বলা হয়েছে। সিনা মস্তিষ্ক পরিষ্কার, বেদনানাশক, কৃমিনাশক, মাথাব্যথানাশক, গিঁটবাত ও নিউমোনিয়া রোগে উপকারী। অপর দিকে কালোজিরা বিভিন্ন ঠাণ্ডাজাতীয় ব্যাধির ওষুধ ছাড়াও যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রাশয়ের শক্তিবর্ধক।

মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যখন রোগ যন্ত্রণা খুব কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি কালোজিরা, অতঃপর পানি ও মধু সেবন করবে।’ এ ছাড়াও ঘৃতকুমারী ত্বকের লাবণ্যতায়, যাইতুন নিউমোনিয়ায়, আগরকাঠ গলগণ্ডে, চিরতা ফোঁড়ার সমস্যায়, খেজুর ও বিহিদানা হৃদরোগে, যব পেট ব্যথায়, সুরমা দৃষ্টিশক্তিতে, বিলাতি ডুমুর অর্শ ও গেটে বাতে, ঠাণ্ডা পানি জ্বরে, লবণ হজম শক্তিতে ব্যবহারের নির্দেশ হাদিসে উল্লেখ আছে। হাদিস ও ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে নবীজীর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল তরমুজ, মধু, লাউ, দুধ, যাইতুন, খেজুর, ভুনা গোশত, পাখির গোশত, মাছ আর তিনি অত্যধিক গরম ও বাসি খাবার এড়িয়ে চলতেন। তিন দুধ ও মাছ যেমন কখনো একসঙ্গে খেতেন না, তেমনি দু’টি গরম, দু’টি ঠাণ্ডা, নরম বা আঠালো জিনিসও একসাথে খেতেন না। নবীজী আমাদের ক্ষুধার সাথে সামঞ্জস্যশীল এবং পরিমিত আহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

আবূ বকর (রা:)

 রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রতি আবূবকর (রা:)-এর ভালবাসা

            
আবূদ্দারদা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় আবূ বকর (রা:) পরনের কাপড়ের একপাশ এমনভাবে ধরে আসলেন যে, তার দুহাঁটু বেরিয়ে পড়ছিল। নবী (সাঃ) বললেন, তোমাদের এ সাথী এই মাত্র কারো সঙ্গে ঝগড়া করে আসছে। তিনি সালাম করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমার এবং ওমর ইবনুল খাত্তাবের মাঝে একটি বিষয়ে কিছু কথা কাটাকাটি হয়ে গেছে। আমিই প্রথমে কটু কথা বলেছি।অতঃপর লজ্জিত হয়ে তার কাছে মাফ চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাকে মাফ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।এখন আমি আপনার নিকট হাযির হয়েছি। নবী (সাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌ তোমাকে মাফ করবেন, হে আবূ বকর! এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। অতঃপর ওমর (রা:) লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আবূ বকর (রা:)-এর বাড়িতে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আবূ বকর কি বাড়িতে আছেন? তারা বলল, না। তখন ওমর (রা:) নবী (সাঃ)-এর নিকট চলে এসে সালাম দিলেন। (তাকে দেখে) নবী (সাঃ)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। আবূ বকর (রা:) ভীত হয়ে নতজানু হয়ে বললেন, হে আল্লাহ্‌র  রাসূল! আমিই প্রথমে অন্যায় করেছি। এ কথাটি তিনি  দুবার বললেন। তখন নবী (সাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌  যখন আমাকে তোমাদের নিকট রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন তখন তোমরা সবাই বলেছ, তুমি মিথ্যা বলছ আর আবূ বকর বলেছে, আপনি সত্য বলেছেন। তাঁর জান-মাল সবকিছু দিয়ে আমাকে সহানুভূতি জানিয়েছে।তোমরা কি আমার সম্মানে আমার সাথীকে অব্যাহতি দিবে? এ কথাটি তিনি দুবার বললেন। অতঃপর আবূ বকর (রা:)-কে আর কখনও কষ্ট দেয়া হয়নি (বুখারী হা/৩৬৬১ ‘রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ছাহাবীদের ফযীলত’অধ্যায়, অনুচেছদ-৫)।

ঘুমানোর আগে যে-সব সুন্নাত রয়েছে

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কাজ তাঁর আদর্শ


     আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কাজ তাঁর আদর্শ এবং রেখে যাওয়া পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই জ্ঞ্যান থাকাটা খুব জরুরি। ঘুম বান্দার প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিরাট নেয়ামত । সেই নেয়ামতের শোকর তখনই হবে, যখন আমরা আল্লাহর নেয়ামতকে রাসুলের (সা.) এর সুন্নাত মোতাবেক পালন করবো । এতে একদিকে আমাদের আমলের সাওয়াব লাভ হবে, নেয়মাতের শোকার আদায় হবে, একই সাথে আল্লাহ রাসুলের (সা.) এর নির্দেশনায় যে কল্যাণ রয়েছে, তা থেকেও বঞ্চিত হবো না ।

হাদিসে বর্ণিত ঘুমানোর আগে যে-সব সুন্নাত রয়েছে, তা হলো-

১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া।
২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করে ঘুমানো।
৩. ঘুমের সময় ঘুমের দোয়া পাঠ করা। হাদিসে বর্ণিত ঘুমের দোয়া হলো, ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ আপনার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি আবার আপনার নামেই জীবিত হই। কেননা, ঘুমকে বলা হয় মৃত্যুর ভাই । মানুষ যখন ঘুমে যায়, তখন তার রুহ আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার জাগরণের পূর্বে রুহ আবার তার দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়। (বুখারি)
৪. ডান কাত হয়ে শোয়া। অর্থাৎ ঘুমের শুরুটা যেনো ডান কাতে হয়। এরপর ঘুমের ঘোরে অন্য যে কোনোভাবে ঘুমালেও সুন্নাত পরিপন্থী হবে না।
৫. অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের বাহ্যিক অপবিত্রতা ধুয়ে অযু করে ঘুমানো ।
৬. নগ্ন হয়ে না ঘুমানো । (বুখারি)
৭. একান্ত প্রয়োজন না হলে উপুড় হয়ে না ঘুমানো সুন্নাত । ৮. ঘুমানোর সময় আগুন জ্বালানো বাতি নিভিয়ে ঘুমানো । (তিরমিযি)
৯. ঘুম ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া ।
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটানো এবং দোয়া করা, ‘হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে পানাহ চাই ।’ এভাবে তিনবার বলা । তবে দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা সুন্নাত। (মুসলিম)

হযরত উমার (রাঃ) এর শাসন আমল


আমি চাই না যে,কেউ বলুক একজন মুসলমানের 

সাহায্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন মুসলমান তাকে 

সাহায্য করে নি।’



হযরত উমার (রাঃ) এর শাসন আমল, একদিন দু’জন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে। উমর (রাঃ) তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে, ‘ব্যাপার কি, কেন তোমরা একে এভাবে টেনে এনেছ ?’ তারা বলল, ‘এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে।’ , উমর (রাঃ) বালকটিকে বললেন, ‘তুমি কি সত্যিই তাদের পিতাকে হত্যা করেছ?’ বালকটি বলল, ‘হ্যা, আমি হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত, আমার উট তাদের বাগানে ঢুকে পড়েছিল তা দেখে তাদের পিতা একটি পাথর ছুড়ে মারল, যা উটের চোখে লাগে। আমি দেখতে পাই যে উটটি খুবই কষ্ট পাচ্ছিল। যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটি পাথর নিয়ে তার দিকে মারি, পাথরটি তার মাথায় লাগে এবং সে মারা যায়।’ , উমর (রাঃ) দু’ভাইকে বলেলন, ‘তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে?’ তারা বলল, ‘না, আমরা তার মৃত্যূদণ্ড চাই।’ উমর (রাঃ) বালকটির কাছে জানতে চাইলেন, ‘তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে?’ , বালকটি বলল, ‘আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান, যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি। আমি তিন দিন সময় চাই, যাতে আমি সেই জিনিস গুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসতে পারি। আমার কথা বিশ্বাস করুন।’ , উমর (রাঃ) বললেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি যদি তুমি এক জন জামিন জোগাড় করতে পার, যে নিশ্চয়তা দেবে যে তুমি ফিরে আসবে?’ বালকটি দরবারের চারদিকে তাকাল এত মানুষের মধ্যে কেউই তার জামিন হল না। সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। , হঠাত্ দরবারের পেছন থেকে একটি হাত উঠল। কার হাত ছিল এটি? প্রখ্যাত সাহাবী আবু যর গিফারী (রাঃ), তিনি বললেন, ‘আমি তার জামিন হব।’ চিন্তা করুন জামিন মানে হল, যদি বালকটি ফিরে না আসে তবে আবু যর গিফারী (রাঃ) এর শিরচ্ছেদ করা হবে। সুতরাং বালকটিকে ছেড়ে দেওয়া হল। এক দিন গেল, দ্বিতীয় দিনেও বালকটি আসল না, তৃতীয় দিনে দু’ভাই আবু যর গিফারী (রাঃ) এর কাছে গেল। , আবু যর (রাঃ) বললেন, ‘আমি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’ মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে আবু যর গিফারী (রাঃ) দরবারের দিকে রওনা হলেন। মদিনার লেকজন তাঁর পেছন পেছন যেতে লাগল। সবাই দেখতে চায় কি ঘটে। আবু যর (রাঃ) একটি বালকের ভুলের কারণে আজ জীবন দিচ্ছেন। হঠাত্ আজানের কিছুক্ষণ আগে বালকটি দৌড়ে আসল। লোকেরা সবাই অবাক হল। , উমর (রাঃ) বললেন, ‘হে বালক তুমি কেন ফিরে এসেছ? আমি তো তোমার পিছনে কোন লোক পাঠাইনি। কোন জিনিসটা তোমাকে ফিরিয়ে আনল?’ , বালকটি বলল, ‘আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলিম কথা দিয়েছিন কিন্তু সে তা রাখে নি তাই আমি ফিরে এসেছি।’ উমর (রাঃ) আবু যর (রাঃ) কে বললেন, ‘হে আবু যর তুমি কেন এই বালকের জামিন হলে?’ , আবু যর (রাঃ) বললেন, ‘আমি দেখলাম একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন, আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন মুসলমান তাকে সাহায্য করে নি।’ , এ কথা শুনে দুই ভাই বলল, ‘আমরাও চাই না যে কেউ বলুক একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করে নি।’ তারপর বালকটি মুক্তি পেল।

স্মার্ট মানুষ হতে চাইলে বাদ দিন ১১ কথা

স্মার্টনেস মানুষের বেশভূষায় যতখানি প্রকাশিত হয় তার চেয়েও বেশি দেখা যায় আচরণে। আর এ ক্ষেত্রে কথাবার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ লেখায় দেওয়া হলো ১১টি কথা, যা সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। স্মার্ট মানুষদের এসব বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করতে দেখা যায় না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. এটা উচিত নয়
সবাই জানে যে, জীবনের বহু বিষয় রয়েছে, যা কখনোই উচিত নয়। তাই এ কথা বলার অর্থ আপনি মানসিকভাবে যথাযথভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হননি।

২. এটা সব সময় এভাবেই করা হয়
অতীত থেকে চলে আসা কোনো কাজ যে সব সময় একভাবেই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে নতুন নতুন উপায় কাজে লাগানো ভালো।

৩. কোনো সমস্যা নেই
অনেকেই একটি কাজের জন্য অনুরোধ করলে সম্মতি জানাতে এ ধরনের কথা বলেন। যদিও এ কথাটির অর্থ দাঁড়ায় এতে সমস্যা হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। তাই এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪. আমার মনে হয়….. / আমি একটা বোকার মতো প্রশ্ন করতে চাই…
এমন ধরনের কথার মাধ্যমে অনেকেই নিজের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে ফেলেন। বাস্তবে এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫. এটা মাত্র এক মিনিটের কাজ
কোনো একটি কাজে যদি এক মিনিটই লাগে তাহলে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বিষয়টি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হয়ে যায় যদি আপনি এক মিনিটের কথা বলে ১০ মিনিট সময় লাগান। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দেওয়াই কাম্য।

৬. আমি চেষ্টা করব
অনিশ্চিত একটি কথা এটি। এ কারণে কোনো কাজের ক্ষেত্রে হ্যাঁ বা না বলে দেওয়াই ভালো। চেষ্টা করার বিষয়টি অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই।

৭. সে আলসে/অযোগ্য
কারো সম্পর্কে অনুরূপ মন্তব্য করার আগে নিজের দিকে তাকাতে হবে। অন্যদের বিষয়ে বাজে মন্তব্য করার বদ অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তবে এটি মোটেই ভালো ফলাফল আনে না।

৮. এটা আমার কাজ নয়
কর্মক্ষেত্রে অনেকেই কোনো কাজের অনুরোধে অনুরূপ মন্তব্য করে। এতে তারা কাজটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। যদিও কোনো কাজের থেকে বেঁচে যাওয়া ভালো কথা নয়। এতে কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি ছাড়াও নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

৯. ওটা আমার দোষ নয়
কাজের জন্য দোষ-ত্রুটি হতেই পারে। কাজ থেকে পালানো যেমন ভালো নয় তেমন কাজের দোষ-ত্রুটি স্বীকার না করাও ভালো নয়। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অন্য কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখতে হবে, সে দোষটি বাস্তবে কার।

১০. আমি পারব না
সরাসরি নেতিবাচক কথা বলার পর্যায়ে পড়ে এটি। স্মার্ট মানুষরা সর্বদাই এমন কথা এড়িয়ে চলে। কারণ না বলার পেছনে সত্যিকার যদি কোনো কারণ থাকে সে কথাটি ব্যাখ্যা করা খুবই প্রয়োজন।

১১. আমি এ কাজ ঘৃণা করি
কর্মক্ষেত্রে একটি কাজকে ঘৃণা করা এবং সে কাজটিই ক্রমাগত করে যাওয়া একটি উভয় সংকটের মতো। যদি সত্যিই কাজটি ঘৃণা করেন তাহলে তা দ্রুত ত্যাগ করাই শ্রেয়। অন্যথায় এ কথা বলা বন্ধ করতে হবে।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

পবিত্র কোরআন কি বলছে, মৃত্যুর পরে অন্য ধর্মাবলম্বিরাও কি জান্নাতে যাবে?

পৃথিবীতে তো অনেক ধর্ম তবে মৃত্যুর পরে সব ধর্মের মানুষই কি জান্নাতে যাবে? স্বাভাবিকভাবেই মনের মধ্যে এই প্রশ্ন জাগতে পারে। এর উত্তর পবিত্র কোরআনে সয়ং আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন নিজেই দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে সূরা নিসার ১১৬ ও ১২১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমার (আল্লাহ) কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম।
সুতরাং ইসলাম ধর্মের বাইরে যারা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছেন তারা কখনোই জান্নাতে যাবে না। কারণ জান্নাতে যাওয়ার প্রধানশর্ত সর্বপ্রথমে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। – সূরা নিসা: ১১৬, ১২১, সূরা আ‘রাফ: ৫, ৩৯, ৪০, মুসলিম শরীফ: ১/৭২, ৭৪, ৮৬, কিফায়াতুল মুফতী: ১/৩৯।

বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ নয় কেন?

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে চাঁদপুর, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু স্থানে সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রমজান মাস শুরু এবং ঈদ পালিত হয়ে থাকে। এতে কিছুটা ভুল-বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আসুন দেখি কুরআন ও হাদীসে এই সম্পর্কে কী ব্যাখ্যা আছে। সহীহ মুসলিমে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দেশের জন্য চাঁদ দেখা জরুরি, আর যখন মুসলিমগণ এক দেশে চাঁদ দেখবে সেটা থেকে দূর দেশের জন্য সে হুকুম সাব্যস্ত হবে না। ইবনে আব্বাস রা. থেকে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে।
প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ডা. জাকির নায়েক একটি সাক্ষাৎকার নিচে দেয়া হল যাতে তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রশ্ন : পৃথিবীতে মুসলমানরা একই দিনে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ইদুল আজহা পালন করার ব্যাপারে একতাবদ্ধ নয় কেন?

ডা. জাকির নায়েক : এই ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ আছে। একদল বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের মক্কার সময় অনুসরণ করা উচিত। অন্য দলের আলেমগণ বলেন, এই সময়টি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সময়ে হওয়া উচিৎ।
আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন, রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর। সূরা বাকারা : ১৮৫
মুহাম্মাদ সা. বলেছেন, তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোজা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোজা ভেঙে ফেল। বুখারী : ১৯০৭ ও ১৯০৯
সুতরাং এই হাদীসটির ওপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একই দিনে রমজানের চাঁদ দেখা অসম্ভব। সুতুরাং মক্কার সময়টি সারা বিশ্বে একযোগে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
কুরআনে বলা হয়েছে, পানাহার কর যতক্ষণ না কালরেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। তারপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। বাকারা : ১৮৭
কিন্তু সূর্যদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না বরং একেক দেশে একেক সময়ে হয়। সুতরাং রোজা পালনে স্থানীয় সময় অনুসরণ করতে হবে।
প্রশ্ন : যে শহরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রমজান এবং ঈদ পালন করা হয় সেই শহরের লোকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী?
ডা. জাকির নায়েক : হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে ওই দিন রোজা শুরু হবে যেদিন সবাই রোজা রাখবে, রোজা ভাঙতে হবে ওই দিন যেদিন সবাই রোজা ভাঙে আর কুরবানি করতে হবে ওই দিন যেদিন সবাই কুরবানি করে। তিরমিযী : ৬৯৭
সুতরাং হাদীসটি দ্বরা বোঝা যায়, একই শহরের লোকদের একই সাথে রোজা এবং ঈদ পালন করা উচিৎ। কারণ এমন কোনো বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায় না। সুতরাং তাদের একসাথে রোজা পালন করা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে যারা নিজের এলাকার চাঁদ না দেখে দূরের কোনো দেশের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রোজা ও ঈদ পালন করে তাদেরটা বৈধ হবে না।

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)

একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ)এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেসকরলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবুহোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকেমেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমি কিকোন বেয়াদবী করেছ? আবু হোরায়রা বললেন,না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবারহতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায়আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেসকরায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথাশুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়তআমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) .... see more

মল মুত্র ত্যাগের সময় একান্ত প্রয়োজন

১..মল মুত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখী হওয়া অথবা কিবলাকে পেছনে দেয়া জায়েয নয় ।বুখারীঃ৩৯৪,মুসলিমঃ২৬৪।
২..গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিন্জা তথা মল মুত্র পরিস্কার করা জায়েজ নয় ।মুসলিমঃ২৬২,৪৫০,বুখারীঃ৩৮৬০।
৩..পথে ঘাটে ,বৈঠকখানা অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল মুত্র করা জায়েয নয় ।মুসলিমঃ২৬৯,আবু দাউদঃ২৬,ইবনু মাজাহঃ৩২৮।
৪..ডান হাত দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ বা ইস্তিন্জা করা জায়েজ নয় ।বুখারীঃ১৫৩,১৫৪
৫..ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বেজোড় ব্যবহার করতে হয় ।বুখারীঃ১৬১,১৬২ ।
৬..ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার করতে হয় ।মুসলিমঃ২৬২।
৭..মল মুত্র ত্যাগের সময় আপনাকে কেউ যেন দেখতে না পায় ।আবু দাউদঃ২।
৮..পানি ,ঢিলা অথবা যে কোন মর্যাদাহীন পবিত্র বস্তু দিয়ে ভালোভাবে ইস্তিন্জা করে নিবে যাতে উভয় দ্বার সম্পুর্নরূপে পরিস্কার হয়ে যায় ।
৯..প্রস্রাব করার সময় কোন ব্যক্তি সালাম দিলে উত্তর দেওয়া যাবে না ।মুসলিমঃ৩৭০,আবু দাউদং১৭।
১০..গোসল খানায় প্রস্রাব করা নিষেধ ।আবু দাউদঃ২৭।
১১..ওযু ও ইস্তিন্জার লোটা (পাত্র) ভিন্ন হওয়া উচিত ।আবু দাউদঃ৪৫।

নামাজ পড়ার উপকারীতা

1.স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
2.হারাম সবকিছু থেকে দূরে থাকা যায়।
3.রোগ মুক্ত থাকা যায়।
4.মন ভালো থাকে।
5.চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ে।
6.আত্নার শান্তি পাওয়া যায়।
7.আলসেমি কেটে যায়।
8.দেহের শক্তি বাড়ে।
9.মন ঠান্ডা রাখে।
10.শয়তান থেকে দূরে রাখে।
11.বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে।
12.বেহেশতে যাওয়ার পথ তৈরি করে।
13.আর বড় ব্যাপার হলো নামাজের মাধ্যেমেই একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
[একমাত্র নামাজের মাধ্যেমেই যদি এতগুলো উপকার পাওয়া যায় তাহলে আজ কেন আমরা নামাজ থেকে এত দূরে??আসুন আজ থেকে সবাই শপথ গ্রহণ করি ....
পাঁচ ওয়াক্ত পড়ার এবং ইসলামী বিধান অনুযায়ী চলার]

আমরা কি শুধু আল্লাহর ইবাদত করি? নাকি একই সাথে শয়তানেরও...?

একটি হুদহুদ পাখি একটি জাতির ইসলাম গ্রহণের কারণ ছিল।
(নমলঃ ২০-৪৪)
একটি পিপড়া একটি সৈন্য বাহিনীর যাত্রাপথকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
(নমলঃ ১৮-১৯)
একটি কাক আদম সন্তানকে শিখিয়েছে কিভাবে মৃতকে দাফন করতে হয়।
(মায়েদাঃ ৩১)
একটি মাছ একজন নবীকে নিজের পেটে আশ্রয় দিয়েছে।
(সাফফাতঃ ১৪২)
হাতি আল্লাহ ঘর কা’বা ভাঙ্গতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
(সূরা ফীল)
মানুষ কি চিন্তা করবে না? শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সকলে শুধুই আল্লাহর ইবাদত করে।
(বাণী ইসরাঈলঃ ৪৪)

Marriage

বাসরঘর


১- বাসরঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখা এবং দু’আ পড়া :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا أَفَادَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً أَوْ خَادِمًا أَوْ دَابَّةً فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيُسَمِّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.
‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে :
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.
(‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)’

২- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করা:
আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে,স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুইরাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে :
اللَّهُمَّ بَارِكْ لِي فِي أَهْلِي، وَبَارِكْ لَهُمْ فِيَّ، اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي مِنْهُمْ وَارْزُقْهُمْ مِنِّي، اللَّهُمَّ اجْمَعَ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ إِلَى خَيْرٍ، وَفَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ.
‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখনকল্যাণের পথেই বিচ্ছেদঘটাবেন।’

৩- স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দু‘আ পড়া।
স্ত্রীসহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ فَقَالَ بِاسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرُّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا.
‘তোমাদের কেউ যদি স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে :
بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
(আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকেশয়তানেরকাছথেকে দূরে রাখুন আরআমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।’

৪- নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা :
আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
مَنْ أَتَى حَائِضًا ، أَوْ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا ، أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছনপথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায়বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।’

৫- ঘুমানোর আগে অযূ বা গোসল করা :
স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ثَلاَثَةٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ الْمَلاَئِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأَ.
‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীরবিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।’

৬- ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে :
হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ .
‘… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।’

৭- বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা :
নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে।কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةً ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ، أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ ، وَيَكُونُ لَهُ فِيهِ أَجْرٌ ؟ قَالَ : أَرأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي الْحَرَامِ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ ؟ فَكَذَلَكَ إِذا وَضَعَهَا فِي الْحَلالِ كَانَ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ.
‘তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, ‘তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকী লেখা হয়।’

৮- স্ত্রী সান্বিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা :
বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِى إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِى إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا.
‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।’