কুরআন ও হাদিসের মধ্যেই আছে মানব জীবনের সকল সমাধান ৷ আমাদের সকলের উচিত কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা ৷ কুরআন ও হাদিস আমাদের জীবনের চাবিকাঠি
h
ইসলামে যা কিছু প্রথম
*প্রথম মানব হযরত আদম (আ)
*প্রথম নবী হযরম আদম (আ)
*প্রথম মানবী হযরত হাওয়া (আ)
*ইসলামের প্রথম দম্পতি আদম- হাওয়া (আ)
*ইসলামের প্রথম শহীদ হযরত হাবীল
*প্রথম খুনী কাবীল
*প্রথম ইসলামী মুদ্রা চালু করেন হযরত উমর (রা)
*প্রথম আকাইদ মুদ্রা চালু করেন হযরত আমির মুয়াবিয়া(রা)
*প্রথম নারী ইসলাম গ্রহণকারী হযরত খাদিজা (রা)
*ইসলামের প্রথম নারী শহীদ হযরত সুমাইয়া (রা)
*ইসলামের প্রথম প্রথম সস্ত্রীক হিজরতকারী হযরত উসমান (রা) (সাহাবাদের মধ্যে)
*ইসলামের প্রথম ডাক বিভাগের প্রথা চালুকারী হযরত মুয়াবিয়া (রা)
*প্রথম মক্কায় নিজ ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশকারী হযরত জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা)
*ইসলামের প্রথম গুলিবিদ্ধ শহীদ হযরত খোবাইব ইবনে আলী (রা)
*সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মিত হয় কুবায় (মদিনা)
*সর্বপ্রথম ইসলামের শিক্ষাকেন্দ্র দারুল আরকাম (মক্কা)
* ইসলামের প্রথম আযানের পদ্ধতি স্বপ্নে দেখেন হযরত আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ (রা)
*ইসলামের প্রথম হজে নেতৃত্ব দানকারী হযরত আবু বকর(রা)
*ইসলামের প্রথম কাবা শরীফের স্থাপক আল্লাহ তায়ালা ফিরিশতাদের মাধ্যমে, তারপর আদম (আ)
*সর্বপ্রথম ঈদের সালাত অনুষ্ঠিত হয় ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে
*সর্বপ্রথম মসজিদের মেহরাব প্রস'তকারী হযরত ইবনে আবদুল আজিজ (র)
* ইসলামের প্রথম জিহাদের জন্য তরবারী কোষমুক্তকারী হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম (র) [রাসূল (স)- এর ফুফাত ভাই]
*ইসলামের প্রথম মানবজাতিকে অক্ষর (জ্ঞান) দানকারী হযরত ইদ্রিস (আ)
*ইসলামের প্রথম কুরআন ও হাদিসের শব্দকোষ সংকলক আবু উবায়দা আল মুসান্না তামিম
*ইসলামের প্রথম সিরাতে রাসূল (স) সংকলক মুহাম্মদ ইবনে ইসাহাক
*ইসলামের প্রথম ফিকহ শাস্ত্রের মূলনীতি ও ফাযায়েলে কুরআন সংকলক হযরত ইমাম শাফিঈ (রা)
*ইসলামের সর্বপ্রথম ওহী লেখক হযরত খালিদ ইবনে সাইদ (রা)
-----------কালেক্টেড-অবুজ বালক সাইফুর
তিরমিযী : আমর ইবনে মাইমুন রাঃ
পাঁচটি খারাপ সময় আসার আগে পাঁচটি ভালো সময়কে কাজে লাগাও :
১. বুড়ো হবার আগে যৌবনের শক্তিকে,
২. অসুখ হবার আগে সুস্থ থাকার সময়কে,
৩. অভাব অনটন আসার আগে সচ্ছলতাকে,
৪. ব্যস্ত হয়ে পড়ার আগে অবসর সময়কে এবং
৫. মরণ আসার আগে জীবিত থাকার সময়কে।
২. অসুখ হবার আগে সুস্থ থাকার সময়কে,
৩. অভাব অনটন আসার আগে সচ্ছলতাকে,
৪. ব্যস্ত হয়ে পড়ার আগে অবসর সময়কে এবং
৫. মরণ আসার আগে জীবিত থাকার সময়কে।
(তিরমিযী : আমর ইবনে মাইমুন রাঃ)
তোমাকে নেক কাজের ফল ছিড়তে বলা হয়েছে
একটি শিক্ষনীয় গল্প
এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল, বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্নই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল সংগ্রহ করতাম তাহলে আমার ঝুড়ি এখন খালি থাকত না। আমি এখন বাদশাকে কি করে মুখ দেখাব। ঘটনা বর্ণনা করার পর শায়েখ গাজালি (রহ:) বলেন, বন্ধুগণ, বাদশাহ হলেন আল্লাহ, আর বাগানে প্রবেশ কারি লোকটি হল তুমি। আর ঝুড়ি দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার আমলনামা। আর বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার জীবন। বাগানের বিভিন্ন অংশ তোমার জীবনের বিভিন্ন ধাপ। আর তোমাকে নেক কাজের ফল ছিড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু তুমি প্রতিদিনই ভাব, আগামী কাল থেকে ফল ছেড়া আরম্ভ করব। আগামী দিন আগামী দিন করতে করতে তোমার জীবনে আর আগামী দিন আসবে না। এভাবেই তুমি রিক্ত হস্তে মাওলার সামনে হাজির হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে যথা সময়ে নেক আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন
এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল, বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্নই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল সংগ্রহ করতাম তাহলে আমার ঝুড়ি এখন খালি থাকত না। আমি এখন বাদশাকে কি করে মুখ দেখাব। ঘটনা বর্ণনা করার পর শায়েখ গাজালি (রহ:) বলেন, বন্ধুগণ, বাদশাহ হলেন আল্লাহ, আর বাগানে প্রবেশ কারি লোকটি হল তুমি। আর ঝুড়ি দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার আমলনামা। আর বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমার জীবন। বাগানের বিভিন্ন অংশ তোমার জীবনের বিভিন্ন ধাপ। আর তোমাকে নেক কাজের ফল ছিড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু তুমি প্রতিদিনই ভাব, আগামী কাল থেকে ফল ছেড়া আরম্ভ করব। আগামী দিন আগামী দিন করতে করতে তোমার জীবনে আর আগামী দিন আসবে না। এভাবেই তুমি রিক্ত হস্তে মাওলার সামনে হাজির হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে যথা সময়ে নেক আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন
তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস থেকে বেঁচে থাকো
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন -তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী জিনিসথেকে বেঁচে থাকো।
১. শিরক করা।
২. যাদু করা।
৩. অবৈধ ভাবে মানুষ হত্যা করা।
৪. সূদ ভক্ষণ করা।
৫. এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা।
৬. যুদ্ধের ময়দার হতে পালিয়ে যাওয়া।
৭. নিরীহ সতীসাধ্বী ঈমানদার নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭)
১. শিরক করা।
২. যাদু করা।
৩. অবৈধ ভাবে মানুষ হত্যা করা।
৪. সূদ ভক্ষণ করা।
৫. এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা।
৬. যুদ্ধের ময়দার হতে পালিয়ে যাওয়া।
৭. নিরীহ সতীসাধ্বী ঈমানদার নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭)
মার্কিন নও-মুসলিম নারী
সবচেয়ে
গতিশীল ও দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর
জন্য নানা ধরণের প্রচার মাধ্যমে ইসলাম-বিদ্বেষী প্রচারণা জোরদার করেছে এই
মহান ধর্মের শত্রুরা। গল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও এমনকি কম্পিউটার গেমসকেও
তারা অপব্যবহার করছে এই হীন উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে
প্রতিদিনই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক সত্য-পিয়াসী নরনারী। আজ আমরা
এমনই একজন সৌভাগ্যবতী মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজির অভিজ্ঞতা তুলে
ধরব।
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
মিসেস রাজি আরো বলেছেন,
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
সবচেয়ে
গতিশীল ও দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর
জন্য নানা ধরণের প্রচার মাধ্যমে ইসলাম-বিদ্বেষী প্রচারণা জোরদার করেছে এই
মহান ধর্মের শত্রুরা। গল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও এমনকি কম্পিউটার গেমসকেও
তারা অপব্যবহার করছে এই হীন উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে
প্রতিদিনই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক সত্য-পিয়াসী নরনারী। আজ আমরা
এমনই একজন সৌভাগ্যবতী মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজির অভিজ্ঞতা তুলে
ধরব।
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
মিসেস রাজি আরো বলেছেন,
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
সবচেয়ে
গতিশীল ও দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর
জন্য নানা ধরণের প্রচার মাধ্যমে ইসলাম-বিদ্বেষী প্রচারণা জোরদার করেছে এই
মহান ধর্মের শত্রুরা। গল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও এমনকি কম্পিউটার গেমসকেও
তারা অপব্যবহার করছে এই হীন উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে
প্রতিদিনই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক সত্য-পিয়াসী নরনারী। আজ আমরা
এমনই একজন সৌভাগ্যবতী মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজির অভিজ্ঞতা তুলে
ধরব।
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
মিসেস রাজি আরো বলেছেন,
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
সবচেয়ে
গতিশীল ও দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর
জন্য নানা ধরণের প্রচার মাধ্যমে ইসলাম-বিদ্বেষী প্রচারণা জোরদার করেছে এই
মহান ধর্মের শত্রুরা। গল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও এমনকি কম্পিউটার গেমসকেও
তারা অপব্যবহার করছে এই হীন উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে
প্রতিদিনই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেক সত্য-পিয়াসী নরনারী। আজ আমরা
এমনই একজন সৌভাগ্যবতী মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজির অভিজ্ঞতা তুলে
ধরব।
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
মিসেস রাজি আরো বলেছেন,
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
ইসলাম নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারিমা রাজি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইসলাম গ্রহণ কয়েক বছর আগেও আমার কাছে ছিল একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে সুপথ প্রদর্শন স্থায়ী ও বিচিত্র বিষয়। এরই আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আমার কোনো কোনো ধারণা শক্তিশালী হয়েছে এবং কোনো কোনো ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।"
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন, কখনও কখনও এটা অনুভব করতাম যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আবার কখনও এমনও মনে হত যে, এই পথ আমার জন্য আগেই ঠিক করা হয়েছে। তাই এ পথকে আমি স্বাগত জানাতাম। সেই কয়েক বছরে ইসলামের কোনো কোনো দিক আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তাঁর প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।
'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমি নৈতিকতার ওপর জোর দিতাম,কিন্তু কখনও সেগুলোকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত করতাম না। জীবনের কোনো লক্ষ্য আছে কিনা তাও জানতাম না। আমার পরিবার, বন্ধু ও সঙ্গীরা আমাকে সমর্থন করত।
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে আনন্দ পেতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ সফল ছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ছিলেন একজন নারীবাদী বা কথিত নারী অধিকারের কট্টর সমর্থক। তাই ইসলাম নারীকে কিভাবে দেখে তা ছিল তার জন্য গভীর আগ্রহের বিষয়। রাজি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমি ভাবতাম যে ইসলাম নারীর অধিকারকে পদদলিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুনেছিলাম যে মুসলিম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না এবং তাদেরকে মাথায় ওড়না পরতে বাধ্য করা হয়। আমার কাছে এটাও মনে হত যে, পর্দা বা হিজাবের অজুহাতে পুরুষরা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। অথচ বাস্তবতা হল হিজাব নারীর বিনম্রতা ও ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যম।
পড়াশুনার মাধ্যমে আমি সবিস্ময়ে এটা জানলাম যে, ইসলাম নারীর অধিকারকে তো ধ্বংস করেই না, বরং বাস্তবে তাদেরকে পাশ্চাত্যের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম সেই খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকেই নারীকে এমন অধিকার দিয়েছে যে, আমরা কেবল বর্তমান শতকে তা অর্জন করেছি। যেমন, নারীর সম্পদ ও মালিকানার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার, বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর অনুমতি বা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইত্যাদি। অবশ্য পশ্চিমা সূত্রগুলো ইসলামকে অত্যন্ত কঠোর ও বাস্তবতা-বিবর্জিত ধর্ম বলে প্রচার করে আসছে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি ইসলামের অন্য কিছু আকর্ষণীয় দিক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারী অধিকারের প্রতি ইসলামের বিস্ময়কর উদারতা ও সম্মানের বিষয়টি আবিষ্কারের পর ইসলামের নবী ও কুরআন সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমার প্রশ্ন ছিল এটা যে, মুহাম্মাদ (সা.) কি কেবল একজন ব্যতিক্রমধর্মী নেতাই ছিলেন? নবী হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন দয়ালু। নিজের ও ভবিষ্যত যুগ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা আমার পূর্ব-ধারণাগুলো পাল্টে দেয়। শত্রুকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে তাঁর ধৈর্য ও দৃঢ়তা এবং বিজয়ের সময় বিনম্রতা তাঁকে পরিণত করেছে এক অতুলনীয় মহামানবে।
তিনি চূড়ান্ত বিজয়ের সময়ও যখন দুনিয়ার সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারতেন তখনও তা করতেন না এবং নিজ অনুসারীদের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে দরিদ্র তার চেয়েও কম ছিল মুহাম্মাদ (সা.)'র সম্পদ। এরপর পবিত্র কুরআন সম্পর্কেও আরো গভীর জ্ঞান অর্জন করলাম। নিজেকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম,সাধারণ কোনো মানুষ কি এমন উচ্চ পর্যায়ের বইকে বুঝতে সক্ষম? প্রকৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। বিশ্বনবী (সা.)'র বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। এও স্পষ্ট হল যে ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এ ধর্ম তাদের অধিকারকে সমান বলে মনে করে।'
মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
বৈপ্লবিক ধর্ম ইসলাম ও এর বৈপ্লবিক বিধানগুলো অজ্ঞতার নিন্দা জানায় এবং ঈমান ও নৈতিকতাকে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামের শিক্ষাগুলো মানুষের নানা চাহিদা মেটায় ও সেগুলো মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় এ ধর্ম কালোত্তীর্ণ ও সার্বজনীন হয়েছে। চির-সজীব ও প্রাণবন্ত এই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনার পর এ ধর্মকে পরিপূর্ণ এবং সার্বজনীন দেখতে পেয়ে কারিমা রাজি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন,
'আমার জীবনের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বিশ্বাস না নিয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত নয়। আমার বুদ্ধিবৃত্তি বা বিবেক এটা বলে যে, ইসলামের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে পবিত্র কুরআনে ও বিশ্বনবী (সা.)'র জীবনে। আর এইসব নিদর্শন বা প্রমাণ এত শক্তিশালী যে তা উপেক্ষা করা যায় না।
এভাবে তখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মনে মনে পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই এবং কয়েক দিন পর শাহাদাতাইন পড়ে মুসলমান হয়ে যাই। আমি আমাদের ম্যাগাজিনে এটা লিখি যে, অবশেষে আমি ইসলামের মধ্যে আধ্যাত্মিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য খুঁজে পেয়েছি। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম এ জন্য যে তিনি আধ্যাত্মিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার মাধ্যমে আমাকে ইসলামকে বেছে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।'
সূত্র : অাই অার অাই বি
- See more at: http://www.onnodiganta.com/article/detail/3907#sthash.QvrBcc9i.dpuf
Subscribe to:
Posts (Atom)