h

স্মার্ট মানুষ হতে চাইলে বাদ দিন ১১ কথা

স্মার্টনেস মানুষের বেশভূষায় যতখানি প্রকাশিত হয় তার চেয়েও বেশি দেখা যায় আচরণে। আর এ ক্ষেত্রে কথাবার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ লেখায় দেওয়া হলো ১১টি কথা, যা সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। স্মার্ট মানুষদের এসব বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করতে দেখা যায় না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. এটা উচিত নয়
সবাই জানে যে, জীবনের বহু বিষয় রয়েছে, যা কখনোই উচিত নয়। তাই এ কথা বলার অর্থ আপনি মানসিকভাবে যথাযথভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হননি।

২. এটা সব সময় এভাবেই করা হয়
অতীত থেকে চলে আসা কোনো কাজ যে সব সময় একভাবেই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে নতুন নতুন উপায় কাজে লাগানো ভালো।

৩. কোনো সমস্যা নেই
অনেকেই একটি কাজের জন্য অনুরোধ করলে সম্মতি জানাতে এ ধরনের কথা বলেন। যদিও এ কথাটির অর্থ দাঁড়ায় এতে সমস্যা হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। তাই এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪. আমার মনে হয়….. / আমি একটা বোকার মতো প্রশ্ন করতে চাই…
এমন ধরনের কথার মাধ্যমে অনেকেই নিজের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে ফেলেন। বাস্তবে এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫. এটা মাত্র এক মিনিটের কাজ
কোনো একটি কাজে যদি এক মিনিটই লাগে তাহলে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বিষয়টি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হয়ে যায় যদি আপনি এক মিনিটের কথা বলে ১০ মিনিট সময় লাগান। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দেওয়াই কাম্য।

৬. আমি চেষ্টা করব
অনিশ্চিত একটি কথা এটি। এ কারণে কোনো কাজের ক্ষেত্রে হ্যাঁ বা না বলে দেওয়াই ভালো। চেষ্টা করার বিষয়টি অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই।

৭. সে আলসে/অযোগ্য
কারো সম্পর্কে অনুরূপ মন্তব্য করার আগে নিজের দিকে তাকাতে হবে। অন্যদের বিষয়ে বাজে মন্তব্য করার বদ অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তবে এটি মোটেই ভালো ফলাফল আনে না।

৮. এটা আমার কাজ নয়
কর্মক্ষেত্রে অনেকেই কোনো কাজের অনুরোধে অনুরূপ মন্তব্য করে। এতে তারা কাজটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। যদিও কোনো কাজের থেকে বেঁচে যাওয়া ভালো কথা নয়। এতে কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি ছাড়াও নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

৯. ওটা আমার দোষ নয়
কাজের জন্য দোষ-ত্রুটি হতেই পারে। কাজ থেকে পালানো যেমন ভালো নয় তেমন কাজের দোষ-ত্রুটি স্বীকার না করাও ভালো নয়। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অন্য কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখতে হবে, সে দোষটি বাস্তবে কার।

১০. আমি পারব না
সরাসরি নেতিবাচক কথা বলার পর্যায়ে পড়ে এটি। স্মার্ট মানুষরা সর্বদাই এমন কথা এড়িয়ে চলে। কারণ না বলার পেছনে সত্যিকার যদি কোনো কারণ থাকে সে কথাটি ব্যাখ্যা করা খুবই প্রয়োজন।

১১. আমি এ কাজ ঘৃণা করি
কর্মক্ষেত্রে একটি কাজকে ঘৃণা করা এবং সে কাজটিই ক্রমাগত করে যাওয়া একটি উভয় সংকটের মতো। যদি সত্যিই কাজটি ঘৃণা করেন তাহলে তা দ্রুত ত্যাগ করাই শ্রেয়। অন্যথায় এ কথা বলা বন্ধ করতে হবে।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

পবিত্র কোরআন কি বলছে, মৃত্যুর পরে অন্য ধর্মাবলম্বিরাও কি জান্নাতে যাবে?

পৃথিবীতে তো অনেক ধর্ম তবে মৃত্যুর পরে সব ধর্মের মানুষই কি জান্নাতে যাবে? স্বাভাবিকভাবেই মনের মধ্যে এই প্রশ্ন জাগতে পারে। এর উত্তর পবিত্র কোরআনে সয়ং আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন নিজেই দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে সূরা নিসার ১১৬ ও ১২১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমার (আল্লাহ) কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম।
সুতরাং ইসলাম ধর্মের বাইরে যারা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছেন তারা কখনোই জান্নাতে যাবে না। কারণ জান্নাতে যাওয়ার প্রধানশর্ত সর্বপ্রথমে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। – সূরা নিসা: ১১৬, ১২১, সূরা আ‘রাফ: ৫, ৩৯, ৪০, মুসলিম শরীফ: ১/৭২, ৭৪, ৮৬, কিফায়াতুল মুফতী: ১/৩৯।

বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ নয় কেন?

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে চাঁদপুর, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু স্থানে সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রমজান মাস শুরু এবং ঈদ পালিত হয়ে থাকে। এতে কিছুটা ভুল-বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আসুন দেখি কুরআন ও হাদীসে এই সম্পর্কে কী ব্যাখ্যা আছে। সহীহ মুসলিমে বলা হয়েছে, প্রত্যেক দেশের জন্য চাঁদ দেখা জরুরি, আর যখন মুসলিমগণ এক দেশে চাঁদ দেখবে সেটা থেকে দূর দেশের জন্য সে হুকুম সাব্যস্ত হবে না। ইবনে আব্বাস রা. থেকে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে।
প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ডা. জাকির নায়েক একটি সাক্ষাৎকার নিচে দেয়া হল যাতে তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রশ্ন : পৃথিবীতে মুসলমানরা একই দিনে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ইদুল আজহা পালন করার ব্যাপারে একতাবদ্ধ নয় কেন?

ডা. জাকির নায়েক : এই ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ আছে। একদল বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের মক্কার সময় অনুসরণ করা উচিত। অন্য দলের আলেমগণ বলেন, এই সময়টি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সময়ে হওয়া উচিৎ।
আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন, রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর। সূরা বাকারা : ১৮৫
মুহাম্মাদ সা. বলেছেন, তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোজা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোজা ভেঙে ফেল। বুখারী : ১৯০৭ ও ১৯০৯
সুতরাং এই হাদীসটির ওপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একই দিনে রমজানের চাঁদ দেখা অসম্ভব। সুতুরাং মক্কার সময়টি সারা বিশ্বে একযোগে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
কুরআনে বলা হয়েছে, পানাহার কর যতক্ষণ না কালরেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। তারপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। বাকারা : ১৮৭
কিন্তু সূর্যদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না বরং একেক দেশে একেক সময়ে হয়। সুতরাং রোজা পালনে স্থানীয় সময় অনুসরণ করতে হবে।
প্রশ্ন : যে শহরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রমজান এবং ঈদ পালন করা হয় সেই শহরের লোকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী?
ডা. জাকির নায়েক : হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে ওই দিন রোজা শুরু হবে যেদিন সবাই রোজা রাখবে, রোজা ভাঙতে হবে ওই দিন যেদিন সবাই রোজা ভাঙে আর কুরবানি করতে হবে ওই দিন যেদিন সবাই কুরবানি করে। তিরমিযী : ৬৯৭
সুতরাং হাদীসটি দ্বরা বোঝা যায়, একই শহরের লোকদের একই সাথে রোজা এবং ঈদ পালন করা উচিৎ। কারণ এমন কোনো বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায় না। সুতরাং তাদের একসাথে রোজা পালন করা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে যারা নিজের এলাকার চাঁদ না দেখে দূরের কোনো দেশের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রোজা ও ঈদ পালন করে তাদেরটা বৈধ হবে না।